কারাগারে পরিচয়, জামিনে বেরিয়েই ভয়ংকর ডাকাতি
চুরি-ছিনতাই করে একাধিকবার জেলে গিয়েছেন ময়মনসিংহের ভালুকার জামাল হোসেন। জেল খেটে নিজেকে না শুধরে জামিনে বেরিয়েই হয়েছেন আরও ভয়ংকর। জেলে থাকতেই খোঁজ পেয়েছিলেন একটি ডাকাত দলের। তাদের প্রলোভনেই তিনিও নাম লেখান ডাকাত দলে। শুধু জামালই নয়, এভাবে আরও অনেকেই কারাগারে পরিচয় হওয়ার পর জামিনে রেরিয়ে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে বনে যান ডাকাত।
ময়মনসিংহের একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের ডিপোতে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত আটজনকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানিয়েছেন ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মাছুম আহম্মাদ ভূঁঞা। এ ঘটনায় ২০ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সম্পর্কিত খবর
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আবুল কালাম (৩০), জালাল হোসেন (৪৬), নজরুল ইসলাম (৩০), আবু সাঈদ ওরফে সৈকত (২৭), বাদল ওরফে আসলাম (২৮), ইন্তাজ আলী (৩৫), রাকিব (২৮) ও ইউনুছ (৫৫)। প্রত্যেকের নামে চুরি, ডাকাতি, মাদকসহ পাঁচটির বেশি মামলা রয়েছে।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মাছুম আহম্মাদ ভূঁঞা জানান, গত ২২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে সদর উপজেলার বেলতলী এলাকায় মেঘনা গ্রুপের ডিপোতে কর্মচারী পরিচয়ে ২৫-৩০ জন ডাকাত প্রবেশ করে। এ সময় পাহাদারদের হাত-পা বেঁধে একটি ট্রাক, ৮ হাজার ৩৮৮ লিটার সয়াবিন ও নগদ ২ লাখ ১১ হাজার টাকাসহ ২৯ লাখ ২৬ হাজার ২৪৬ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করা হয়।
পরে তদন্ত শেষে সোমবার ডাকাতির ঘটনায় সম্পৃক্ত শরীয়তপুরের পালং থানা এলাকার আবুল কালামকে গ্রেপ্তার করলে তার দেখানো মতে চার হাজার লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করা হয়। এর আগে অন্যদের গ্রেপ্তার করে লুণ্ঠিত ট্রাকসহ ২০ লাখ ৩০ হাজার টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে হাজির করলে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।