• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

নন্দীগ্রামে বিপন্ন প্রজাতির শকুন উদ্ধার

প্রকাশ:  ১২ ডিসেম্বর ২০২২, ১৪:৪৩
বগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা থেকে একটি বিপন্ন প্রজাতির শকুন উদ্ধার করা করেছেপরিবেশবাদী সংগঠন টিম ফর এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চের সদস্যরা। উদ্ধারকৃত শকুনটি বেশ কয়েকদিন না খেয়ে থেকে অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে।

রোববার (১১ ডিসেম্বর) উপজেলার মুরাদপুর গ্রাম থেকে শকুনটি উদ্ধার করা হয়। পরিচর্যার পর সুস্থ হলে দিনাজপুরের সিংড়া ফরেস্টের শকুন পরিচর্যা কেন্দ্রে সেটিকে হস্তান্তর করবেন তীরের সদস্যরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সন্ধ্যার দিকে শকুনটি ফসলি জমিতে নেমে আসে। তারপর সসেটি আর উড়তে পারছিল না। তখন বিষয়টি স্থানীয় বেশ কিছু যুবকরা শুকুন তপাখিটি ধরে ফেলেন।

গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তিরা পাখিটিকে শকুন হিসেবে শনাক্ত করার পর যুবকরা বিষয়টি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে জানান। হেল্পলাইন থেকে বিষয়টি বাংলাদেশে শকুন নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) ও বন বিভাগকে জানানো হয়। পরে তাদের নির্দেশনা মোতাবেক বগুড়া অঞ্চলে পরিবেশ ও প্রাণ-প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তীরকে সেটি উদ্ধারের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

জানা গেছে, প্রতিবছরই তীর সদস্যরা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে শকুন উদ্ধারের কাজে বন বিভাগকে সহায়তা করেন। এ বছর তিনটি শকুন উদ্ধার করেছেন তীর সদস্যরা। উদ্ধার করা শকুনগুলো দিনাজপুরের সিংড়া ফরেস্টের শকুন পরিচর্যা কেন্দ্রে পাঠানো হয়।

উদ্ধার করা শকুনের বিষয়ে তীরের উপদেষ্টা ও বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এস এম ইকবাল বলেন, এটি হিমালয়ান গৃধিনী জাতের শকুন। শকুনকে প্রকৃতির ঝাড়ুদার বলা হয়। বড় ডানার বৃহদাকার এই পাখি তীক্ষ্ণ দৃষ্টির অধিকারী ও মৃত প্রাণী ভক্ষণকারী। শকুনই একমাত্র পাখি যারা রোগাক্রান্ত মৃত প্রাণী খেয়ে হজম করতে পারে এবং অ্যানথ্রাক্স, যক্ষ্মা, খুরারোগের সংক্রমণ থেকে জীবকূলকে রক্ষা করে।

তিনি জানান, আইইউসিএন-বাংলাদেশের তথ্যানুযায়ী, দেশে সর্বশেষ ২০১৪ সালের শকুন নিয়ে শুমারির তথ্য মতে, দেশে মোট ২৬০টি শকুন রয়েছে। সে হিসেবে শকুন এখন বিপন্ন প্রজাতির পাখি।

বগুড়া

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close