• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

পরিবারটির বেড়াতে যাওয়ার আনন্দ রূপ নিল বেদনায়

প্রকাশ:  ০৯ মার্চ ২০২৩, ১২:৪১
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

‘ছেলেমেয়ের আবদার ছিল পটুয়াখালীর কুয়াকাটা বেড়াতে যাবে। বেড়াতে এসে মেয়েকে হারালাম। স্ত্রী এক পা হারিয়ে পঙ্গু হয়েছে। ছেলে আর আমি আহত হয়ে হাসপাতালে।’ এ কথা বলতে বলতে চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছিল রিয়াজুল ইসলামের (৪০)। তিনি তখন পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে তাকে ও ছেলেকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

রিয়াজুল ইসলাম বলেন, তাদের বাড়ি কুড়িগ্রামের মুক্তারাম গ্রামে। তিনি গাজীপুরের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। গত মঙ্গলবার রাতে গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে কুয়াকাটাগামী বাসে কুয়াকাটা বেড়াতে রওনা দেন রিয়াজুল ইসলাম (৪০), তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩৫), ছেলে জোনাইত (১৩) ও মেয়ে রোজা (১০)।

বুধবার ভোররাতে বাসটির চালক ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে পটুয়াখালী সেতু পাড় হওয়ার আগে নিয়ন্ত্রণ হারালে সেটি মহাসড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়।

ঘটনাস্থলে মারা যায় রিয়াজুল ইসলামের মেয়ে রোজা। স্ত্রী গুরুতর আহত হন। স্ত্রীর বাম পা হাঁটু থেকে আলগা হয়ে গেছে। রিয়াজুল ও ছেলে জোনাইত পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে বিকেলে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে। ওই দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জান বলেন, নিহত শিশুর বাবা রিয়াজুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। বাসটির চালক, চালকের সহকারী ও সুপারভাইজার আহত হয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। মামলার বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রেকার দিয়ে বাসটি উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

সড়ক দুর্ঘটনা

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close