• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

মধ্যরাত থেকে ইলিশ ধরতে নামবেন জেলেরা

প্রকাশ:  ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১২:২৪
চাঁদপুর প্রতিনিধি

জাটকা রক্ষায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর ৭০ কিলোমিটার অভয়াশ্রম এলাকায় মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে রোববার (৩০ এপ্রিল) রাত ১২টায়। এদিকে দুই মাস বেকার অবস্থায় থাকার পর নৌকা ও জাল মেরামত করে প্রস্তুতি নিয়েছে জেলেরা।

জেলার প্রায় ৪৪ হাজার নিবন্ধিত জেলে মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত নৌ সীমানায় মাছ ধরতে নামবেন। তবে জাটকা রক্ষায় সরকার যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তা বাস্তবায়ন নিয়ে অভিযোগ করেছেন জেলেরা। জেলা টাস্কফোর্সের দাবি জাটকা রক্ষায় সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিলো।

চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনা উপকূলীয় এলাকার অধিকাংশ মানুষই মাছ ধরে ও কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। জেলেদের মধ্যে অধিকাংশ জেলে গুল্টিজাল ব্যবহার করে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ ধরে। কিন্তু এক শ্রেণির জেলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা ধরে। আইন অমান্য করে জাটকা ধরায় ১ মার্চ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ৩৭১ জেলেকে আটকের পর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সরেজমিনে সদর উপজেলার তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের আনন্দ বাজার, শহরের টিলাবাড়ী এলাকা, পুরান বাজার রনাগোয়াল, দোকানঘর, লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের সাখুয়া, বহরিয়া, হানারচর ইউনিয়নের হরিণা মাছঘাট, আখনের হাট এলাকায় দেখা গেছে জাল ও নৌকা মেরামত কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা। কিছু লোক ঠিক এই সময়ে শুধুমাত্র জাল মেরামত করার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে আসেন।

চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, জাটকা রক্ষা অভিযানের শুরু থেকে আমরা দিন ও রাতে এবং স্পেশাল অভিযান করেছি। এসব অভিযানে জাটকা ধরা অবস্থায় আমরা প্রায় ৪শ জেলেকে আটক করেছি। এসব ঘটনায় প্রায় ৩৯টি মামলা হয়েছে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় সরকার দুই মাসের যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তা বাস্তবায়নে আমাদের জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত ছিলো। জেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ মিলে আমরা এই অভিযান সফল করেছি। এরপরেও কিছু অসাধু জেলে মাছ ধরেছে। ফলে অভিযানকালে ৩৪৭টি মামলা হয়েছে এবং জেল হয়েছে ৩৭১জন জেলের।

তিনি বলেন, আমরা আশা করছি এই অভিযানের ফলে ইলিশের উৎপাদন আরো বাড়বে। যা ইলিশের জাতীয় উৎপাদনে ভূমিকা রাখবে। এর সুফল অভিযানের সময় মাছ ধরা থেকে বিরত থাকা জেলেরা পাবে। তারা আরো বেশি ইলিশ পাবে। জেলেদের যাতে কষ্ট না হয় সেজন্য এ বছর অভিযানের আগে থেকেই ৪০ কেজি করে ৪ মাস খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

জেলে,ইলিশ,মধ্যরাত,চাঁদপুর,জাটকা

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close