বৃদ্ধা মাকে মারপিট করে পুলিশের বাড়িতে লুট

যশোরের মনিরামপুরে এক পুলিশ সদস্যর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদল ঘরের জানালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে লুটপাট চালিয়েছে। এসময় তাঁরা ঘরে অবস্থানরত বৃদ্ধা গীতা চক্রবর্তীকে (৭৫) মারপিট করে আহত করেছে। আহত বৃদ্ধাকে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার আম্রুঝুটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় ডাকাতরা ঘরে থাকা ১০-১২ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ১৫ হাজার টাকা ও অন্যান্য জিনিসপত্র লুট করেছে।

বৃদ্ধার ছেলের নাম বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী। তিনি সাতক্ষীরা কোট পুলিশে কর্মরত। বিশ্বজিতের স্ত্রী পুলিশের উপপরিদর্শক। তিনিও সাতক্ষীরায় কর্মরত।

আহত বৃদ্ধার প্রতিবেশী সুদ্বীপ কুমার বলেন, বৃদ্ধা একা বাড়িতে থাকেন। আজ শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে বৃদ্ধার সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে তাঁর পুলিশ ছেলে আমাকে ফোন করেন। পরে আমরা গিয়ে বৃদ্ধাকে ডাকাডাকি করি। কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে একপর্যায়ে দেখি ঘরের জানালা ভাঙা। ভাঙা জানালা দিয়ে ভেতরে ঢুকে দেখি ঘরের জিনিসপত্র তছনছ করা। বৃদ্ধা রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছেন। এরপর আমরা তাঁকে উদ্ধার করে মনিরামপুর হাসপাতালে ভর্তি করি।

আহত বৃদ্ধার ছেলে বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী বলেন, আমরা দুই ভাই কাজের সুবাদে বাইরে থাকি। বাবা মারা যাওয়ায় মা একা গ্রামের বাড়িতে থাকেন। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টা থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত কোন এক সময় ঘরের দক্ষিণপাশের গ্রিল কেটে দুজন লোক ঘরে ঢোকে। বাকিরা বাইরে ছিল। এসময় মা চিৎকার দিতে গেলে ওরা মাকে গলাটিপে ধরে মারপিট করে। তখন মার নাক মুখ দিয়ে রক্ত ওঠে। ওরা ১০-১২ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ১৫ হাজার টাকাসহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে গেছে।

বিশ্বজিৎ বলেন, আমি মায়ের কাছে হাসপাতালে আছি। এ ঘটনায় এখনো কোন আইনগত ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নিইনি। রাতে সিদ্ধান্ত নেব। মা কিছুটা ভাল আছেন। তাঁকে সাতক্ষীরা আমার কাছে নিয়ে চিকিৎসা দিতে চাচ্ছি।

মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।