• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

লাগেজভর্তি টুকরো লাশের পরিচয় মিলেছে

প্রকাশ:  ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮:৩২
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গায় লাগেজ থেকে উদ্ধার করা মস্তকহীন ৮ খণ্ড করা লাশের পরিচয় মিলেছে। নিহতের নাম মো. হাসান (৬১)। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী হোসনে আরা এবং বড় ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে লাশের আরো একটি অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোডের খালপাড় এলাকার বিল থেকে এ অংশটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া অংশের মধ্যে ছিলো পেটসহ শরীরের মাঝখানের অংশ। তবে এখনো মাথা উদ্ধার করা হয়নি। এ অংশটি ভিন্ন জায়গায় ফেলা হয়েছে বলে পিবিআই।

পিবিআই কর্মকর্তারা বলছেন, হাসানকে হত্যার পর একাধিক টুকরো করা হয়। এর মধ্যে হাত-পাসহ ৮টি টুকরো ফেলা হয় পতেঙ্গা থানাধীন ১২ নম্বর ঘাট এলাকায়, পেটসহ শরীরের মাঝখানের অংশ ফেলা হয় ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোডের খালপাড় এলাকার বিলে। তবে মাথার অংশটি কোথায় ফেলা হয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে পিবিআই।

এ প্রসঙ্গে পিবিআই পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খান বলেন, লাশের ফিঙ্গার প্রিন্ট, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ এবং গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ক্লু-বিহীন এবং মাথাবিহীন লাশটির পরিচয় শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। নিহত ব্যক্তির এনআইডি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তার নাম মো. হাসান। তার পিতার নাম সাহেব মিয়া। গ্রামের বাড়ি বাঁশখালী উপজেলার কাতারিয়া ইউনিয়নের বড়ইতলী এলাকায়।

তিনি বলেন, নিহতের স্ত্রীসহ দুই ছেলে এবং দুই মেয়ে আছে। তবে তিনি খুন হন নগরীর ইপিজেড থানাধীন দক্ষিণ হালিশহর আকমল আলী সড়কের পকেট গেট এলাকার জমির ভিলা নামক ভবনের ছোট ছেলের বাসায়। তার ছোট ছেলের নাম শফিকুর রহমান ওরফে জাহাঙ্গীর। ঘটনার পর থেকে ছোট ছেলে এবং তার স্ত্রী পলাতক রয়েছে। শনিবার নিহতের স্ত্রী হোসনে আরা এবং বড় ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে পিবিআই কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, নিহত হাসানকে হত্যার পর লাশ বস্তায় ঢুকিয়ে সরানোর দৃশ্য দেখা গেছে সিসিটিভির ক্যামেরায়। তার ছোট ছেলে শফিকুর রহমানকে নিজেই তার বাসা থেকে বস্তাটি বের করতে দেখা গেছে। আমরা তাকে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা করছি।

পিবিআই সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. এ কে এম মহিউদ্দিন বলেন, গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে নগরীর পতেঙ্গা থানাধীন ১২ নম্বর ঘাট এলাকায় লাগেজভর্তি লাশের হাত-পায়ের আটটি খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্ত শুরু করে পিবিআই। উদ্ধার হওয়া খণ্ডিত অংশগুলো কার তা চেনা কিংবা জানার উপায় ছিলো না। কেননা, লাশের মাথার অংশটি ছিলো না। পরবর্তীতে প্রযুক্তিসহ নানা চেষ্টায় ক্লু-বিহীন এ হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা নিশ্চিত হয়েছি নিহত ব্যক্তিকে খুন করা হয় তার ছেলের বাসায়। তারা পলাতক আছেন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর কিংবা ২০ সেপ্টেম্বর তাকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর লাশ টুকরো করে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরীর পতেঙ্গা থানাধীন ১২ নম্বর ঘাট এলাকায় লাগেজভর্তি লাশের আটটি খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ। স্থানীয় লোকজনের কাছে খবর পেয়ে লাশভর্তি লাগেজটি উদ্ধার করা হয়। তবে সেখানে ছিলো না মাথাসহ লাশের আরো কিছু অংশ।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গুম এবং হত্যার অভিযোগে পতেঙ্গা থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করে।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

চট্টগ্রাম,পরিচয়,লাশ,লাগেজ,ভর্তি

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close