বাউফলে অধ্যক্ষের হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালিশুরি ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহাবুব আলম কর্তৃক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁর আপন তিন ভাইসহ প্রতিবেশীদের হয়রানি করার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ওই অধ্যক্ষের স্বজন এবং হাজী কুরবান আলী মসজিদের মুসল্লীরা।
সম্পর্কিত খবর
শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের ভরিপাশা কুরবান আলী জামে মসজিদের সামনে উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। ওই মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেয় মাহাবুব আলমের তিন ভাইসহ স্থানীয় শতাধিক মানুষ।
মিথ্যা হয়রানি মুলক মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা প্রত্যাহারের দাবি করে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় বাসিন্দা মো. গিয়াস উদ্দিন, খলিল খান, আল-আমিন, সাইদুল, আফজাল হাওলাদার, মনির আলম, ফিরোজ আলম ও মহিরুল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, ঢাকার দোহারের সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মনির আলম ২০১৫ সাল থেকে মসজিদের সভাপতির পদে রয়েছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মসজিদ উন্নয়নে অনুদানের কথা বলে কয়েকজন মুসল্লির স্বাক্ষর নেন কলিশুরী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. মাহবুব আলম। মাহাবুব আলম ও মনির আলম সর্ম্পকে তাঁরা আপন ভাই। এনিয়ে মাহবুব আলমের সাথে মুসল্লিদের কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির জের ধরে ৮ জুন পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে স্কুল আপন তিন ভাই ফিরোজ আলম, মনির আলম ও মহিরুল ইসলামসহ ৫জনের বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ করেন। আদালত ওই অভিযোগ আমলে নিয়ে পিআইবিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে চাঁদাবাজি মামলার প্রতিবাদে মুসল্লিদের ওই মানববন্ধন কর্মসূচিতে বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করেন মাহবুব আলম ও তার সগযোগী দুলাল হাওলাদার। এসময় তিনি মানববন্ধনে অংশ নেয়া মুসল্লি ও সংবাদ সংগ্রহে থাকা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আরও মামলা দেয়ার হুমকি দেন। এ বিষয়ে মাহাবুব আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জোরপূর্বক বেশ কিছু জমি আমার ভাইয়েরা দখল করে রেখেছে এবং চাঁদা দাবী করছে যার কারনে মামলা করতে বাধ্য হয়েছি।