• রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

ফরিদপুরে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী

কেউ পিছিয়ে থাকবে না, সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যাবো

প্রকাশ:  ১০ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:৩৩
ফরিদপুর প্রতিনিধি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গৃহহীন ও ভূমিহীনদের ভূমি ও গৃহ দিচ্ছি। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস করে দিয়েছি। হিজড়াদের ঘরবাড়ি দিয়েছি। কেউ পিছিয়ে থাকবে না। সবাইকে নিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) পদ্মা সেতুতে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করে ভাঙ্গার ডা. কাজী ইউসুফ স্টেডিয়ামের জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, লুটেরা বিএনপি এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করেছে। দুর্নীতি করে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বিএনপির নেতা। আর জামায়াত যুদ্ধাপরাধী। এরা দেশকে ধ্বংস করে দেবে। ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচার জন্য নৌকাই আপনাদের রক্ষা করবে।

এসময় নৌকায় ভোট চান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার মার্কা নৌকা। উন্নয়নে প্রতীক নৌকা। এ নৌকায় ভোট দিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছেন। এ নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণে এত উন্নয়ন সমৃদ্ধি। এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দিন।

ফের আবাদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সারাদেশের সব যায়গা আবাদের আওতায় আনতে হবে। নিজেরা উৎপাদন করবো, নিজেদের চাহিদা পূরণ করবো। প্রয়োজনে অন্যান্যদের দেবো। পাশাপাশি আমাদের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ধর্ম যাতে মানুষ ঠিকমত জানে, সেজন্য সারাদেশের মডেল মসজিদ করে দিয়েছি। আমাদের দেশে সব ধর্মের মানুষ তার ধর্ম পালন করবে। এখানে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি নেই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আছে। বাংরাদেশের মানুষ পাশে থাকলে অসাধ্য সাধন করা যায়। পদ্মা সেতু করে দিয়ে সেটা আবারো প্রমাণ করলাম। জাতির পিতা বলেছিলেন, বাংলাদেশের মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। আসলেই পারেনি।

সরকার প্রধান বলেন, ব্যাংকের এমডি থাকতে দেইনি বলে সেই ক্ষোভে হিলারি ক্লিনটনকে বলে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছিল। আমি চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম, বলেছি নিজেদের অর্থে করবো, করেছিও।

তিনি বলেন, মিলিটারি ডিক্টেটরের আমলে কেউ ভোট দিতে পারতো না। কথাই তো আছে, ১০টা হোন্ডা ২০টা গুন্ডা ভোট ঠাণ্ডা।

কৃষক ও কৃষির উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখনো অনেক খাদ্য মজুত আছে। ১৮ মেট্রিক টন চাল মজুত আছে। আবার ধান উঠছে মাঠ থেকে। এ ধান কাটতে আমাদের ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ ও আওয়ামী লীগ নেম গিয়েছিলো। এটাইতো রাজনীতি।

তিনি বলেন, ফরিদপুর পুরনো শহর, কিন্তু সব সময় অবহেলিত ছিল। আমরা এসে উন্নয়ন করেছি। ফরিদপুরের মেডিকেল কলেজকে সম্প্রসারিত ও সেবার আধুনিকায়ন আমরাই করেছি। আমি জানি, ফরিদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় নেই। ইনশা আল্লাহ, আবার সরকারে আসলে সেটা করে দেবো।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, আমার বাবা-ভাইবোন কেউ নেই। আছে বাংলাদেশের জনগণ। তাদের জন্যই আমার কাজ। জিয়া-এরশাদ-খালেদা লুটপাট আর দুর্নীতিতে মত্ত ছিলেন। কেউ ভোট দিতে পারেনি। লুট করেছে তারা। আমরা সরকারে এসে সব ধরনের সেবা নিশ্চিত করেছি। কমিউনিটি ক্লিনিক, স্কুল কলেজ, রাস্তাঘাট করে দিয়েছি।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

ফরিদপুর,প্রধানমন্ত্রী,শেখ হাসিনা,জনসভা

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close