শ্রমিক আন্দোলনের নামে নাশকতা করলে কঠোর ব্যবস্থা : র্যাব
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, শ্রমিক আন্দোলন পুঁজি করে কোনো ধরনের নাশকতা-সহিংসতার মাধ্যমে পোশাকশিল্পের ক্ষতি করার চেষ্টা হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সম্পর্কিত খবর
আজ শনিবার(৪ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে র্যাব-৪ সিপিসি-২ এর কার্যালয়ে পোশাক শ্রমিকদের চলমান আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা রোধে পোশাক কারখানাগুলো পরিদর্শন, র্যাবের কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেছেন তিনি। মিডিয়া উইংয়ের এই পরিচালক বলেন, পোশাকশিল্পকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহল বা দুষ্কৃতিকারীরা উঠে পড়ে লেগেছে। গত ২৮ অক্টোবর থেকে আমাদের দেশের শান্তিপ্রিয় পোশাক শ্রমিকরা তাদের বেতন বৃদ্ধির যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন।
বিষয়টি সরকারের দপ্তর, বেসরকারি সংস্থা, মালিকদের সংগঠন সবাই আমলে নিয়ে মঞ্জুরি কমিটি গঠন করে একটি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
খন্দকার মঈন বলেন, কিন্তু দেখতে পাচ্ছি একটি মহল শ্রমিকদের ভুল তথ্য এবং গুজবের মাধ্যমে বা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করার জন্য উসকানিমূলক তথ্য দিয়ে অরাজকতা, সহিংসতা বা নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। গত ৩১ অক্টোবর জোসনা নামে এক পোশাক শ্রমিককে মিরপুর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ গুম করেছে এমন একটি গুজব ছড়িয়ে পড়ে।
যার ফলে এক নভেম্বর সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মিরপুরে অনেক সহিংসতা ও নাশকতা হয়৷ র্যাব-৪ এর একটি আভিধানিক দল ১ নভেম্বর জোসনাকে খুঁজে বের করে। দেখা যায়, জোসনা বাসায় তার পরিবারের সঙ্গেই ছিলেন।
খন্দকার মঈন আরো বলেন, যারা এই শান্তিপ্রিয় শ্রমিক ভাইদের নিয়ে নাশকতা, সহিংসতার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গাজীপুর, সাভার, আশুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় দুষ্কৃতিকারীরা হামলা এবং সহিংসতা করছে।
তাদের বিরুদ্ধেও আমাদের আইনানুগ ব্যবস্থা চলমান রয়েছে। র্যাব ফোর্সেস এই চলমান সহিংসতা প্রতিরোধে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।