• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার দাবি গার্লস গাইড সদস্যদের

প্রকাশ:  ০৮ নভেম্বর ২০২৩, ১৮:২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য অধূমপায়ীরা মারাত্মক ক্ষতির শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা পরোক্ষ ধূমপানে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। তাই বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করতে হবে।

সম্পর্কিত খবর

    বুধবার ঢাকার লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজের গার্লস গাইডের সদস্যদের নিয়ে তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব এবং বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার গুরুত্ব শীর্ষক একটি ওরিয়েন্টেশন আয়োজন করে বেসরকারি নারী উন্নয়ন সংস্থা ‘নারী মৈত্রী’। এ অনুষ্ঠানে গার্লস গাইডের সদস্যরা এ দাবি তুলে ধরেন।

    অনুষ্ঠানে লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজের প্রধান অধ্যক্ষ ড.মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, উপাধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) নাসরীন আহমেদ, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের (সিটিএফকে) প্রোগ্রামস ম্যানেজার মো.আব্দুস সালাম মিয়া, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে) বাংলাদেশের কমিউনিকেশন ম্যানেজার হুমায়রা সুলতানা বক্তব্য রাখেন।

    লালমাটিয়া মহিলা কলেজের প্রধান অধ্যক্ষ ড.মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম নারী মৈত্রীর এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, তামাক একটি মারাত্মক ক্ষতিকর দ্রব্য। এ দ্রব্য অবিলম্বে বর্জন করা উচিত। এ জন্য আমাদেরকে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। হতে হবে যথেষ্ট সচেতন। তবে তার আগে প্রয়োজন তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করা। পাশাপাশি তামাক মুক্ত সুস্থ জীবন যাপনের দাবিতে নারী মৈত্রীর সকল কাজে পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।

    ওরিয়েন্টেশনে সভাপতিত্ব করেন নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলি। তিনি বলেন,পাবলিক প্লেসে ধূমপানের কারণে অধূমপায়ীরা মারাত্মক স্বাস্থ্যগত ক্ষতির শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা এর ভুক্তভোগী। পরোক্ষ ধূমপানের কারণে নারীর প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস,গর্ভপাত এবং সন্তান জন্মদানে মা ও শিশু উভয়ই মৃত্যুর মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কর্মক্ষেত্রে , রেস্তোরাঁ সহ সকল পাবলিক পরিবহনকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত করা গেলে সেখানে আগত অধূমপায়ীদের হৃদরোগের ঝুঁকি ৮৫% পর্যন্ত হ্রাস পাবে, শ্বাসতন্ত্র ভালো থাকবে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস পাবে। মৃত্যুর এই ভয়াল ছোবল থেকে বেরিয়ে আসতে নারী ও শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণে আমাদের সচেতন হতে হবে এখনই।

    মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নারী মৈত্রীর প্রোজেক্ট কোঅর্ডিনেটর নাসরিন আকতার। তিনি জানান, তামাক ব্যবহারের দিক থেকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে। বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭৮ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন এবং কর্মক্ষেত্র,পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন ৩ কোটি ৮৪ লাখ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ (২০১৩ সালে সংশোধিত)যুগোপযোগী করে বৈশ্বিক মানদণ্ডে উন্নীত করতে ছয়টি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়।

    সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে-সকল পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ নিষিদ্ধ করা;তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়স্থলে তামাকজাত পণ্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা; তামাক কোম্পানির যেকোনো ধরনের সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর)কর্মসূচি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা; তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট/কৌটায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা;বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা, মোড়কবিহীন এবং খোলা ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা এবং ই-সিগারেটসহ সকল ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস্ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা।

    গার্লস গাইড

    সারাদেশ

    অনুসন্ধান করুন
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close