• বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

অল্পদিনে সাম্প্রদায়িকতা ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে গেছে

প্রকাশ:  ১৪ নভেম্বর ২০২৩, ১৯:৪৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাম্প্রদায়িকতা আছে বলেই সম্প্রীতির প্রয়োজন। সময়ের আবর্তে ক্ষয়ে গেছে বিশুদ্ধ সংস্কৃতি। বদল হয়েছে পাঠ্যবই। রাজাকারও মন্ত্রী হয়েছে এদেশে। সুতরাং অল্পদিনে অনেক পরিবর্তনের কারণে র‌্যাডিকালিজম চাড়া দিয়েছে। সবমিলে একটা অস্থির সময় পার করছে এদেশের জনগন। মনের মধ্যে রাগ ক্ষোভ পুষে না রেখে তাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলা গঠনে সব মানুষের জোটবদ্ধ হওয়া জরুরী। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সম্প্রীতি বাংলাদেশের গোলটেবিল বৈঠকে বক্তরা এসব বলেন।

আজ মঙ্গলবার(১৪ নভেম্বর) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংগঠনটির কেন্দ্রিয় আহ্বায়ক কমিটি। যেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরেণ্য শিক্ষাবিদ ও লেখক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। অনুযোগের সুরে তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদদের তালিকা নিয়ে এখনও প্রশ্ন করে কেউ কেউ। কারণ এদেশে রাজাকারদের মতো আত্মস্বীকৃত খুনিরা মন্ত্রী হয়েছে। তাদের দোসরেরা সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে আসীন হয়েছেন। অথচ মুক্তিযুদ্ধের মূল্যায়ন যদি হয় রক্তের দামে, তাহলে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি দামে পৃথিবীর অন্য কোনো জাতি স্বাধীনতা কেনে নাই।

বক্তব্যের বিভিন্ন পর্যায়ে মুহম্মদ জাফর ইকবাল তাঁর কর্মময় জীবনের বিভিন্ন স্তরে কিভাবে সাম্প্রদায়িকতা দেখেছেন তার বর্ননা করেন। একইভাবে শিশু কিশোরদের মধ্যে মুক্তবুদ্ধি তথা অসাম্প্রদায়িক চেতনার বীজ কিভাবে প্রোত্থিত হতে পারে তারও সরল সমাধান দেন।

নাট্যজন, আবৃত্তিকার ও অভিনেতা পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক পূজা উদযাপন কমিটি সাধারণ সম্পাদক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, ডিবিসি নিউজের সম্পাদক প্রণব সাহা, একাত্তর টেলিভিশনের নূর সাফা জুলহাস, চিকিৎসক নেতা ও সোহরাওয়াদী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন পরিচালক ডা. উত্তম বড়ুয়া, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ব্যারিস্টার ফারজানা মাহমুদ, সময় টেলিভিশনের সম্পাদক মোস্তফা হোসেইন, সম্প্রীতি বংলাদেশের কেন্দ্রিয় নেত্রী জয়ম্রী ব্যানার্জী, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক হাসান ময়না, একুশে টেলিভিশনের ভারপ্রাপ্ত অনুষ্ঠান প্রধান সাইফ আহমেদসহ অন্যরা।

সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব বিশিষ্ট চিকিৎসক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেফাটোলজি বিভাগের পরিচালক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল গোলটেবিল অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। যেখানে তিনি উদ্বেগের সঙ্গে বলেন, খুব কৌশলে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির মাঝে কুঠারাঘাত করা হচ্ছে। স্কুল থেকে শুরু করে উপর মহলে পৌঁছে গেছে সাম্প্রদায়িকতার বিষের বাষ্প। এখন প্রশ্ন-আমাদের সেই চিরায়ত সাংস্কৃতিক আন্দোলন তাহলে কোথায় গেলো? কিছুদিন আগেও স্কুলগুলোতে পবিত্র কোরান তেলাওয়াতের সঙ্গে গীতা ও ত্রিপিটক পাঠ ছিল।

এখন আর ত্রিপিটক কিংবা গীতার বাণী শোনানো হয় না। তাহলে দেশ থেকে কি হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান লুপ্ত হয়ে গেছে? না-কি মন থেকে আমরাই তাদের উপস্থিতিকে অমান্য করতে শিখেছি-এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন উপস্থিত সবার দিকে।

সাম্প্রদায়িকতা

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close