স্মার্ট স্কুল বাসের যাত্রা শুরু, বার্তা পাবেন অভিভাবকরা
সন্তান সঠিক ও সুস্থভাবে স্কুলে গেল কিনা এমন দুশ্চিন্তার শেষ নেই অভিভাবকদের। এবার সব দুশ্চিন্তা থেকে পরিত্রাণ পেতে চট্টগ্রাম নগরের সড়কে যাত্রা শুরু করলো ‘স্মার্ট স্কুলবাস’।
প্রাথমিকভাবে সোমবার একটি বাসের উদ্বোধন করা হয়েছে। এসময় বাসে চট্টগ্রাম নগরের ১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৭০ জন শিক্ষার্থী ছিল। তাদের প্রত্যেকেই স্মার্ট কার্ড চেপে বাসে ওঠে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে শিক্ষার্থীদের নিয়ে এটি সড়কে চলবে। চলতি বছরের জন্য বাসগুলোতে প্রতিজন শিক্ষার্থী ৫ টাকা মূল্যে যাতায়াত সুবিধা পাবে।
সম্পর্কিত খবর
চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য এই স্মার্ট বাস প্রকল্পের বাস্তবায়ন করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। লাল রঙের এসব স্মার্ট স্কুল বাসে উঠলেই থাকবে ডিজিটাল হাজিরা যন্ত্র। শিক্ষার্থীরা বাসে ওঠা বা নামার সময় এই হাজিরা যন্ত্রের সামনে স্মার্ট কার্ড চাপ দিলেই খুদে বার্তা পেয়ে যাবেন অভিভাবক। এ ছাড়া ঘরে বসেই জিপিএস ট্র্যাকিং ও সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে বাস ও শিক্ষার্থীর অবস্থানও দেখতে পারবেন তারা।
জেলা প্রশাসন জানায়, নগরের ১০টি স্কুলবাসে জিপিএস ট্র্যাকার, জিআইএস প্রযুক্তি, ডিজিটাল হাজিরা ডিভাইস ও আইপি ক্যামেরা স্থাপন করে এসব বাসকে ‘স্মার্ট’ করা হয়েছে। গত অক্টোবর মাসে স্মার্ট জেলা উদ্ভাবন চ্যালেঞ্জ-২০২৩ এর আওতায় প্রথম পুরস্কার পায় এই প্রকল্প।
এদিকে, ১০টি সরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১০টি দোতলা বাস নগরের বিভিন্ন রুটে চলাচল করছে। নগরের পতেঙ্গা-হালিশহর এলাকার শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে আরও ১০টি বাস নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে। স্মার্ট বাসের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম। এর আগে স্মার্ট স্কুল বাসের আনুষ্ঠানিক যাত্রা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা দুশ্চিন্তা মুক্ত হতে পারবেন। এ ছাড়া সড়কে যানজটও অনেক কমে যাবে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, আশা করছি স্মার্ট স্কুল বাস উদ্যোগটি একটি টেকসই প্রকল্প হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে। স্মার্ট স্কুল বাস চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে অসহনীয় যানজট, অভিভাবকদের ভোগান্তি, অধিক যাতায়াত খরচ, জ্বালানি অপচয়, সড়ক দুর্ঘটনা, অনিরাপদ স্কুল যাত্রাসহ অভিভাবকদের কর্মঘণ্টা নষ্ট হওয়ার মতো সমস্যার সমাধান হবে।