• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

শীতের সঙ্গে শঙ্কা বাড়াচ্ছে বায়ুদূষণ

প্রকাশ:  ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ২২:১৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
বায়ুদূষণের প্রধান কারণ সড়কের উন্নয়ন প্রকল্প

অগ্রহায়ণ মাস আসতে আরও সপ্তাহ দুয়েক বাকি। তবে ইতোমধ্যে শীতের দেখা মিলেছে উত্তরের বিভিন্ন জেলায়। কিছুটা ছোঁয়া ফেলেছে রাজধানী ঢাকাতেও। বিশেষ করে সন্ধ্যা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীতে বাড়ছে শীতের আবহ। আর এরই সঙ্গে রাজধানীবাসীর মনে শঙ্কা বাড়াচ্ছে বায়ুদূষণ।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বেলা ১২টায় বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল সপ্তম।

বায়ুর মানমাত্রা নির্ধারণকারী সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) অনুযায়ী, ঢাকার মঙ্গলবারের একিউআই মাত্রা ছিল ১৫২। এই মাত্রাকে “অস্বাস্থ্যকর” বলা হয়। এ তালিকায় সবার উপরে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। সেখানকার একিউআই মাত্রা ৪১৩।

গত কয়েকদিন ধরেই ঢাকার অবস্থান পাঁচ থেকে সাতের মধ্যেই ঘুরছে। এর আগে গত ২১ নভেম্বর ঢাকার অবস্থান ছিল পঞ্চম অবস্থানে। তখন একিউআই মাত্রা ছিল ১৯২।

বর্তমানে বায়ুদূষণের প্রধান কারণ “সড়কের উন্নয়ন প্রকল্প” বলে জানিয়েছেন বায়ুদূষণ বিশেষজ্ঞ স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান। তিনি বলেছেন, “সড়কে নানা সময়ে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলতেই থাকে। রাজধানীর সড়কগুলোতে বেশির ভাগ সময়ই খোঁড়াখুঁড়ি চলে। আর এ থেকেই বাতাসে ধুলাবালি ছড়ায়। শীত এলে ধুলাবালির মাত্রা আরও বেড়ে যায়।”

তিনি বলেন, “শীতকালে বায়ুদূষণের মাত্রা বেশি থাকার কারণ, সে সময় বায়ু শুষ্ক থাকে এবং ধুলাবালি বেশি থাকে। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বায়ুদূষণের মাত্রা বেশি থাকে।”

বায়ুদূষণ কমানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “বায়ুদূষণ কমানোর সহজ সমাধান হচ্ছে রাস্তায় পানি ছেটানো। সরকারের উচিত বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আর্টিফিশিয়াল রেইনের ব্যবস্থা করা। যাতে করে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি কিছুটা কমে।”

এদিকে বায়ুদূষণ রোধে নির্দেশনা বাস্তবায়নের বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর ও ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনকে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সোমবার এক শুনানিতে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেন।

২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট বায়ুদূষণ রোধে ৯ দফা নির্দেশনাসহ আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।

৯ দফার মধ্যে ঢাকার আশপাশের পাঁচ জেলার অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা, মাত্রার চেয়ে বেশি কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে চলা যান জব্দ ও ধুলাপ্রবণ এলাকায় দুই সিটি কর্পোরেশনের নিয়মিত পানি ছেটানোর নির্দেশনা রয়েছে।

শুনানির এক পর্যায়ে আদালত বলেছিলেন, “পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ম্যানেজড করেই ওই ইট ভাটাগুলো চলে। তাদের (কর্মকর্তাদের) নির্মল বায়ুর প্রয়োজন নেই। কারণ তাদের সন্তানরা বিদেশে পড়াশোনা করে, সেখানে নির্মল বায়ু পায়।”

বায়ুদূষণ,ঢাকা,শীতে

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close