চাঁদপুর-২ আসনে মনোনয়নবঞ্চিতদের অনুসারীর ওপর হামলায় মায়াপন্থীরা, আহত ১২
মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা নিয়ে গঠিত চাঁদপুর-২ আসনে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিতদের অনুসারীদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে মায়ার অনুসারী উপজেলার কলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সোবহান সরকার ও তাঁর লোকজন। এই হামলায় সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে সোবহান সরকার সুভার নেতৃত্বে চালানো এই হামলায় নারী, ইউপি সদস্য, আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃত্ব সহ তাদের পরিবারের সদস্যরা আহত হন।
সম্পর্কিত খবর
চাঁদপুর-২ আসনে ২০২৪ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম। এই ঘোষণা পাওয়ার প্রায় পরপর তার অনুসারী হিসেবে পরিচিত এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে কলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হওয়া সোবহান সরকার সুভা ও তার লোকজন হামলা চালানো শুরু করে। এ সময় সংসদ সদস্য মো. নুরুল আমিন রুহুলের সমর্থকদের পাশাপাশি স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের বেশ কিছু নেতাকর্মীর ওপর চরাও হন মায়ার অনুসারীরা।
জানা যায়, ইউপি সদস্য মানসুর আলম, আবুল বাশার, শামসুদ্দিনকে মারধর সহ শারীরিক ভাবে নির্যাতন করা হয় সোবহানের নেতৃত্বে। এ ছাড়াও ইউপি সদস্য মাহফুজকে তার বাড়িতে না পেয়ে ব্যক্তিগত কার্যালয় ও দোকানপাট ভাঙচুর সহ তালাবন্ধ করে দেয় সোবহান। এ সময় ইউপি সদস্য মাকসুদুল আলম রানার বাড়িতে তাকে তুলে আনার হুমকিও প্রদান করা হয়। এমন হুমকির শিকার হয়েছেন ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, ইউনিয়ন শ্রমিক লীগ নেতা আবু মুসা সহ আরও বেশ কয়েকজন।
একই দিন বিকেলে উপজেলার ছেংগারচর বাজারে আতাউর ঢালী ও তার সঙ্গীদের হামলার শিকার হন উপজেলা ছাত্রলীগ সদস্য তুহিন এবং পৌর মেয়র আরিফ উল্লাহ সরকারের চাচাতো ভাই সাহাদাত হোসেন সরকার। ২৬ নভেম্বর থেকে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে চলমান এ সকল হামলার শিকার হন আওয়ামী লীগ কর্মী মোফাজ্জল হোসেন ও কাউসার আলম। সাবেক পৌর কমিশনার খোকনের হাতে মারধরের শিকার হন তারা। এ ছাড়াও একই দিনে সন্ধ্যায় ফরাজিকান্দি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সদস্য শরীফ হোসেন ও নাদিমের ওপরও হামলা চালানো হয়।
এর আগে গত বছর মে মাসেও কলাকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান সুভার অপকর্মের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকাবাসী। সোবহান সরকার সুভা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কলাকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। তাকে ভোট না দিয়ে আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছে এমন সন্দেহে উপজেলার দশানী গ্রামসহ আরও বেশ কিছু এলাকায় বিভিন্ন সময় হামলা ও অত্যাচার চালায় সে। এ সময় তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হলেও অদৃশ্য কলকাঠিতে এখনও চেয়ারম্যান পদে বহাল আছেন সোবহান। ধারণা করা হচ্ছে মায়ার অনুসারি হিসেবেই নতুন উদ্যোমে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টির জন্যই এ হামলা চালানো হয়।