রাউজানের ব্যাংক থেকে গ্রাহকের উত্তোলনকৃত টাক ডাকাতির সময় গ্রেফতার ১৪
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার নজুমিয়াহাটস্থ
সম্পর্কিত খবর
এই ঘটনায় সম্পৃক্ত করা হয় ১৪ জনকে। পরিকল্পনা সফল হলে লুটের টাকা থেকে নির্দিষ্ট একটা অংশ বাগ-বাটোয়ারা হত। এই পরিকল্পনায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে চট্টমেট্রো- চ-১১-৬২১৪ রেজিস্ট্রেশন নম্বরের একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে আরও একটি নম্বরবিহীন এপার্চি মোটরসাইকেলযোগে ছুরি, কসটেপসহ নানা ডাকাতির সরঞ্জাম নিয়ে বেরিয়ে পড়ে চক্রটি।
ডাকাতদলের কিছু সদস্য মোটরসাইকেল নিয়ে রেকি করছিল, বাকীরা মাইক্রোবাস নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিয়ে অবস্থান করছিল রাউজান উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের হারপাড়া গ্রামস্থ চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়কের উত্তর পার্শ্বে র শেখ আলী “স”-মিলের সামনে। এ সময় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়কে টহলরত রাউজান থানা পুলিশের একটি টিমসন্দেহ হওয়ায় মাইক্রোবাসটি আটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাউজান থানায় নিয়ে যায়। একে একে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইসলামী ব্যাংকের নজুমিয়াহাট উপ শাখার সাবেক ও বর্তমান দুই কর্মচারীর যোগসাজশে গ্রাহকের উত্তোলনকৃত টাকা লুটে ডাকাতির পরিকল্পনার কথাও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে ডাকাতি চক্রের ১৪ জন সদস্য।
যাদের অনেকের বিরুদ্ধে চুরি-ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সোহল (২৫), মোসলিম উদ্দিন খান ওরফে সায়েম (২৫), মো. আলী ওরফে হায়দার আলী (৩২), ব্যাংক বাবুর্চি মো. তারেক (২২), মো. মহিউদ্দিন (২৪), আবু সিদ্দিক (৩৬), মো. ইমন (২২), মো. আল কাদের শরীফ (২১), শহিদুল ইসলাম সাকিব (২৩), সাইফুল ইসলাম সাকিব (২১), সজিবুর রহমান খান (২০), মো. সোহেল (২৪), মো. মোরশেদ (২৫), মো. শওকত আলম (২১)। গ্রেফতার ১৪ জনের মধ্যে ১৩'জনের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায়। সোহেলের বাড়ি আনোয়ারা উপজেলায়। তাদের কাছ থেকে ১টি ধারালো টিপ ছুরি, ১টি ধারালো লম্বা রামদা, ১টি ধারালো লম্বা কিরিচ, ২টি ধারালো ধামা দা উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা হয় তাদের বহনকারী একটি হাইস (চট্টমেট্রা-চ-১১-৬২১৪) ও রেজিস্ট্রেশন বিহীন এফআরসি মডেলের একটি মোটর সাইকেল।
নোয়াপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ পরিদর্শক টুটন মজুমদার বলেন, নিয়মিত টহলকালে সড়কের পাশে একটি হাইচ গাড়ীতে বেশ কয়েকজন অপরিচিত যুবককে দেখে সন্দেহ হওয়ায় আমরা গাড়িটি আটকিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করি। আটক করে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদে তারা টাকা লুটের পরিকল্পনার কথা স্বীকার করে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয়।
তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি আইনে মামলা রুজু শেষে শুক্রবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক টাকা লুটের উদ্দেশ্যে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ১৪ জনকে আটক করেছি। পুলিশের জালে আটকা না পড়লে তারা আরো বড় ধরনের অপরাধ সংঘটিত করতো।