• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

রাজাপুর বিএনপির অফিস এখন নৌকার নির্বাচনি কার্যালয়

প্রকাশ:  ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২:৪২
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা বিএনপির কার‌্যালয়টি এখন ‘নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়’ হিসেবে ব্যবহার শুরু করেছেন ঝালকাঠি-১ আসনে (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আওয়ামী লীগের মনোনীত আলোচিত প্রার্থী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর।

কার‌্যালয়টি তার ব্যক্তিগত জমিতে করা হয়েছিল। তাই সদ্য বিএনপি ত্যাগী এই নেতা এখন নৌকার নির্বাচনি প্রধান কার্যালয় লেখা একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছেন সেখানে।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজাপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহবায়ক মো. মাহিম হোসেন ও বর্তমান রাজাপুর শহর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. রমজান মৃধা এ সাইনবোর্ডটি টাঙিয়ে দেন।

জানা যায়, রাজাপুর-কাঁঠালিয়ায় দীর্ঘদিন যাবত বিএনপির শক্ত ঘাঁটি। শত চেষ্টা করেও বিএনপির এ ঘাঁটিতে আঘাত হানতে পারেনি আওয়ামী লীগ। এ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর (বীরউত্তম)। ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয়, ১৯৯১ সালে পঞ্চম, ১৯৯৬ সালে ষষ্ঠ ও ৭ম এবং ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থাকালীন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তাকে দেশ ছাড়তে হয়। সে কারণে ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি অংশ নিতে পারেননি। আর ২০১৪ সালে বিএনপি দশম সংসদ নির্বাচন বয়কট করায় তিনি প্রার্থী হননি। তবে ২০১৮ সালে প্রার্থী হয়েছিলেন।

তার মালিকানাধীন রাজাপুর বাইপাস মোড় এলাকায় দুইতলা বিশিষ্ট একটি ভবনে ২০০৩ সাল থেকে উপজেলা বিএনপির স্থায়ী প্রধান কার‌্যালয় হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছিল। গত ৩০ নভেম্বর শাহজাহান ওমর আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েই নৌকার মনোনয়ন বাগিয়ে নেন। ওই দিনই ওমরের মালিকানাধীন ভবন থেকে বিএনপির সব সাইনবোর্ড ব্যানার আসবাবপত্র সরিয়ে ফেলা হয়।

মঙ্গলবার ৫ ডিসেম্বর সেখানে নৌকার নির্বাচনি সাইনবোর্ড উঠানো হয়। এদিকে ২০ বছরের বিএনপির প্রধান কার‌্যালয়ে নৌকার নির্বাচনী অফিস করায় উপজেলার সব বিএনপি নেতাকর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিএনপির কার্যক্রম পরিচালনা করা ভবনটি শাহজাহান ওমরের ব্যক্তিগত জায়গার উপরে তার নিজের অর্থে নির্মাণ করা। এতদিন তিনি বিএনপিতে ছিলেন তাই বিএনপির কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে এখন তিনি আওয়ামী লীগে গেছেন তাই আওয়ামী লীগের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এখনে আমাদের কিছু বলার নাই।

এ বিষয়ে রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এএইচএম খায়রুল আলম সরফরাজ বলেন, তিনি যখন ঝালকাঠিতে আসছেন তখন আমাকে বলছেন তার ওই অফিস রাজাপুর আওয়ামী লীগের প্রধান কার‌্যালয়ে হিসেবে ব্যবহার করবেন। তখন তাকে বলছি রাজাপুরে আওয়ামী লীগের অফিস আছে।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর বীরউত্তমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

নির্বাচনি,অফিস,কার্যালয়

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close