• রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

লক্ষ্মীপুরে কাউন্সিলরের নির্দেশে প্রবাসীকে মারধরের অভিযোগ

প্রকাশ:  ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭:২১
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরে ৫ লাখ চাঁদা না দেওয়ায় হুমায়ুন কবীর নামে এক প্রবাসীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। লক্ষ্মীপুর পৌরসভার কাউন্সিলর জসিম উদ্দিনের নির্দেশে তার লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। চাঁদাসহ কিছু শর্ত না মানায় কাউন্সিলর ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন কবীর।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মজুপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বন্ধু কবীরকে রক্ষা করতে গেলে আওয়ামী লীগ নেতা হাসান শফি উদ্দিন আহমেদ লিটুকেও কাউন্সিলরের লোকজন মারধরের হুমকি দেওয়া হয়।

আহত হুমায়ুন কবীর সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামের মির বাড়ির জাফর আহমেদের ছেলে ও সিঙ্গাপুর প্রবাসী।

ভূক্তভোগী হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ৭ বছ আগে কবীর লক্ষ্মীপুর মজুপুর এলাকায় একটি সেমি পাকাঘর ও দুটি দোকানঘরসহ ৬ শতাংশ জমি কেনেন। সেখানে এখন নতুন করে ভব নির্মাণের জন্য পুরনো ঘর ও একটি দোকানে ভাঙা হয়েছে। ভবন নির্মাণের জন্য কাউন্সিলর জসিম লোকজন দিয়ে তার কাছ থেকে ইট-বালু ও শ্রমিক নেওয়ার কথা জানায়। আর এসব না নিলে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এ টাকা না দেওয়ায় ঘটনায় সময় কাউন্সিলর জসিম ও তার লোকজন ঘটনাস্থল আসে। একপর্যায়ে কাউন্সিলরের নির্দেশে তার লোকজন কাউন্সিলরকে মারধর করে। ইটের আঘাতে তার হাতে জখম হয়।

হুমায়ুন কবীর বলেন, কাউন্সির জসিম শর্ত দিয়েছেন ভবন করতে হলে তার কাছ থেকে কন্ট্রাক্টর-শ্রমিক নিতে হবে। ইট-বালু দেবেন বলে জানিয়েছেন। এ শর্তগুলো না মানলে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন কাউন্সিলর। ওই টাকা না দেওয়াতেই তার নির্দেশে আমাকে মারধর করা হয়।

লক্ষ্মীপুর পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ হাসান শফি উদ্দিন আহমেদ লিটু বলেন, কবীর আমার বন্ধু। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গেলে কাউন্সিলর জসিমের লোকজন আমাকে মারধরের হুমকি দেয়। কাউন্সিলর চেয়েছেন, কবীর যেন তার কাছ থেকে ইট-বালু কেনে। শ্রমিক নেওয়ার জন্যও বলেছেন। যদি এগুলো না নেয়, তাহলে ৫ লাখ টাকা চাঁদার দিতে হবে বলে দাবি করেন কাউন্সিলর।

পৌর কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন বলেন, জমিটির পাশেই একটি পুকুর রয়েছে। ওই পুকুর ভরাটের জন্য লোকজন কবীরের ভবনের কাজ বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করে৷ এনিয়ে কবীরের সঙ্গে তাদের সমস্যা সৃষ্টি হয়। আমি ঘটনাস্থল উভয়পক্ষে শান্তনা জানাতে যায়। আমি ইট-বালু বিক্রি করি না। চাঁদা দাবিসহ কবীরকে মারধরের ঘটনাটিও মিথ্যা।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোসলেহ্ উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি কেউ জানায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কাউন্সিলর,প্রবাসি বাংলাদেশি,মারধর

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close