প্রচারণা ও সভা সমাবেশে সরব পীর মিসবাহ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪ (সদর-বিশ্বম্ভরপুর) আসনে এবারো লাঙ্গল নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ। তিনি এই আসনের দুইবারের এমপি।
নির্বাচনকে সামনে রেখে সরব প্রচার প্রচারণা, সভা সমাবেশ হচ্ছে লাঙ্গলের পক্ষে। এতে দলীয় নেতাকর্মীর পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ অংশ নিচ্ছেন। ক্ষমতাসীন দল সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব ডক্টর মোহাম্মদ সাদিককে এই আসনে মনোনয়ন নিয়েছেন।
সম্পর্কিত খবর
সদর আসন হিসেবে পরিচিত মর্যাদার এই আসনটিতে আবারো ধরে রাখতে চায় জাপা। এদিকে, এই আসনের ব্যক্তিক্রম হচ্ছে বিগত তিনটি নির্বাচনে জয়লাভ করে জাপা। টানা বিজয়ের রেশ পড়েছে তৃণমূলেও। স্থানীয় সরকারেও রয়েছেন অনেক নির্বাচিত প্রতিনিধি।
এরশাদ আমলে মেজর (অব.) ইকবাল হোসেন চৌধুরী সুনামগঞ্জ-৪ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রী হয়েছিলেন। সেই থেকে তৃণমূলে জাপার যে ভিত্তি রচিত হয়েছিল তার ধরাবাহিকতা আজও রক্ষা করে চলছে দলটি। যে কারণে বিগত দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ জাপা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার আগের টার্মে এই আসনের এমপি ছিলেন জাপার বেগম মমতাজ ইকবাল।
এদিকে, ক্লীন ইমেজের অধিকারি হিসেবে পরিচিত জাপা দলীয় সংসদ সদস্য পীর মিসবাহ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন।
অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেন, 'সুনামগঞ্জ সদর আসনে জাতীয় পার্টির একটা মজবুত অবস্থান রয়েছে। আমার আগে এ আসনে মেজর (অব.) ইকবাল হোসেন চৌধুরী, পরবর্তীতে তার সহধর্মীনী বেগম মমমতাজ ইকবাল জাতীয় পার্টি থেকে সদর আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। টানা দশ বছর ধরে আমি এ আসনের এমপি আছি।
তিনি বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতি থেকে মুক্ত দুই উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত এ আসনের রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নসহ সব সেক্টরে আশানুরূপ উন্নয়ন করেছি। সদর উপজেলার সুরমা নদীর উপর ধারারগাঁও-হালয়াঘাটে একটি ব্রিজ নির্মাণসহ কিছু কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। আগামীতে সুযোগ পেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেসব উন্নয়ন সমাপ্ত করে সুনামগঞ্জ সদর আসনকে একটি মডেল সংসদীয় আসন হিসেবে গড়ে তুলব।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম