হলে ওঠাকে কেন্দ্র করে কুয়েটে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে যুবলীগ নেতাসহ আটক ৩
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় খানজাহান আলী থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অলিয়ার রহমান রাজুসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের অপর দু’জন হলো রিফাত হোসেন ও মেহেদী হাসান আকাশ।
সম্পর্কিত খবর
শুক্রবার রাতে কুয়েটের আশপাশের এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়। সর্বশেষ ছাত্রলীগ নেতার দায়েরকৃত মামলায় শনিবার তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এব্যাপারে শিক্ষার্থীরা জানান, গ্রেপ্তার অলিয়ার কুয়েটে রেজিস্ট্রারের দপ্তরে অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত। বাকি দু’জন কুয়েটের ছাত্র নন। তারা তিনজনই কুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতি রুদ্র নীলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। রুদ্রের সঙ্গে প্রায়ই তাদের ক্যাম্পাসে এবং লালন শাহ হলে দেখা যেত।
এরআগে গত ১৪ জানুয়ারি রাতে হলে ওঠাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ৩ জনকে পিটিয়ে আহত করেন কুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্র নীল সিংহের অনুসারীরা। এ ঘটনায় ১৬ জানুয়ারি কুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি তাহমিদুল হক ইশরাক বাদি হয়ে রুদ্র নীলসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
খানজাহান আলী থানার ওসি মমতাজুল হক জানান, সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তারা সংঘর্ষে জড়িতের দায় স্বীকার করেছে।
মামলার বাদি তাহমিদুল হক ইশরাক অভিযোগ করে বলেন, এজাহারভুক্ত ১২ আসামি পুলিশের সামনে ক্যাম্পাসে ও হলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মামলার পরও তার অনুসারীদের হুমকি দিচ্ছে, মারধর করছে। কিন্তু পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
