• রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

ইজতেমাফেরত মুসল্লিদের ভিড়ে ৪ সড়কে যান চলাচলে ধীরগতি

প্রকাশ:  ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৯
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে ইজতেমার মোনাজাত শেষে সড়কে আবার যান চলাচল শুরু হয়েছে। তবে হাজার হাজার মুসল্লি মহাসড়ক ধরে হেঁটে গন্তব্যে রওনা দেওয়ায় আশপাশের কয়েকটি সড়কে যান চলাচলে ব্যাপক ধীরগতি দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও থেমে থেমে যানজট তৈরি হচ্ছে। পরিবহনসংকট থাকায় মুসল্লিরাও ভোগান্তিতে পড়েছেন।

যান চলাচলে ধীরগতি হওয়া সড়কগুলো হলো ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিমানবন্দর থেকে ভোগড়া বাইপাস, আবদুল্লাহপুর-আশুলিয়া সড়ক, কামারপাড়া-মন্নুগেট সড়ক ও টঙ্গী-ঘোড়াশাল আঞ্চলিক সড়ক। আখেরি মোনাজাতের কারণে তিনটি সড়কে গতকাল শনিবার রাত ১০টার পর থেকে যান চলাচল সীমিত করে দেয় গাজীপুর ও ঢাকা মহানগর ট্রাফিক বিভাগ। এর মধ্যে সকাল থেকে পুরোপুরি যান চলাচল বন্ধ থাকে।

সকালে টঙ্গীর তুরাগ তীরে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় প্রথম পর্ব বা মাওলানা জুবায়ের অনুসারীদের ইজতেমা। মোনাজাতে অংশ নিতে রাজধানী ও আশপাশের এলাকা থেকে হাজারো মুসল্লি জড়ো হন। সকাল ৯টায় ইজতেমা এলাকায় থেকে দেখা গেছে, হাজারো মুসল্লি মাঠে জায়গা না পেয়ে চার সড়কের বিভিন্ন অংশে বসে পড়েন। তখন সড়ক দিয়ে যানবাহন তো দূরের কথা, হাঁটার উপায় ছিল না। মোনাজাত শেষে সকাল ১০টার পর আবার যান চলাচল শুরু হয়। তবে বিপুলসংখ্যক মুসল্লি সড়ক ধরে হাঁটায় যানজট দেখা দেয়।

সড়কের বিভিন্ন স্থানে দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশের সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইজতেমা ফেরত মানুষের কারণে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস, টঙ্গী-ঘোড়াশাল আঞ্চলিক সড়কের মিরেরবাজার থেকে স্টেশন রোড, মন্নুগেট-কামারপাড়া সড়ক ও আবদুল্লাহপুর-আশুলিয়া সড়কের আবদুল্লাহপুর থেকে ধউর বেড়িবাঁধ পর্যন্ত থেমে থেমে যানবাহন চলছে। কখনো কখনো অনেক আটকে থাকছে। সড়কে পর্যাপ্ত যানবাহন না থাকায় অনেক মুসল্লি হেঁটেই গন্তব্যে যাচ্ছেন।

কামারপাড়া মোড়ে বিশেষ দায়িত্ব পালন করছিলেন টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাখাওয়াত হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ইজতেমার মোনাজাত শেষ হওয়ার পরপরই মুসল্লিরা বাড়ি ফিরতে শুরু করেন। এ কারণে সন্ধ্যা পর্যন্ত চারটি সড়কে প্রচুর যানজট ছিল। এর মধ্যে সন্ধ্যার পর থেকে অনেকটা পরিষ্কার হতে থাকে। যানবাহন চলে ধীরগতিতে। তিনি বলেন, ‘আমরা মোনাজাত শেষ হওয়ার পর থেকেই সড়কে কাজ করছি। এখন যান চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। যানজট নেই। তবে ধীরগতিতে চলছে।’

এদিকে অসংখ্য মুসল্লির চাপে সড়কে পরিবহনসংকট দেখা দিয়েছে। অনেক মুসল্লি কাঙ্ক্ষিত যানবাহন না পেয়ে হেঁটেই গন্তব্যে রওনা দেন। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের স্টেশন রোড এলাকায় কথা হয় জামালপুর থেকে আসা শহিদুল আলমের সঙ্গে। তিনি ১৯ জনের একটি জামাতের সঙ্গে ইজতেমায় এসেছিলেন। কিন্তু মোনাজাত শেষে দলছুট হয়ে পড়েন। এরপর বাড়ি ফিরতে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন স্টেশন রোড মোড়ে। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়েও যানবাহন পাননি। শহিদুল আলম বলেন, সরাসরি জামালপুর যাওয়ার কোনো গাড়ি পাচ্ছি না। বেশির ভাগ গাড়ি চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত চলছে। আর দু-একটা জামালপুরগামী গাড়ি পেলেও দুই গুণের বেশি ভাড়া চাচ্ছে। এ জন্য প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন।

তাবলিগ জামাতের বিবদমান বিরোধের কারণে এবারও ইজতেমা আলাদাভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শুক্রবার আমবয়ানের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্ব শুরু হয়। এ পর্বে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা। দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা হবে ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি। এ পর্বে নেতৃত্ব দেবেন ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা।

গাজীপুর,বিশ্ব ইজতেমা,ঢাকা বিভাগ,টঙ্গী,মহাসড়ক

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close