• রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

উপাচার্যের দায়িত্ব কি পদ উপভোগ করা, প্রশ্ন জাতীয়বাদী শিক্ষক ফোরামের

প্রকাশ:  ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:১৫
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

জাহাঙ্গীরনর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শিক্ষক অধ্যাপক কামরুল হাসান বলেছেন, “(ধর্ষণের ঘটনায়) র‍্যাব বলেছে জাবি প্রশাসন ব্যর্থ, ইউজিসিও একই কথা বলছে। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে জাবি উপাচার্য এবং প্রশাসনের দায়িত্ব কি শুধু বাসভবনে থাকা? আর উপাচার্য ভবনে বসে পদ উপভোগ করা? জাহাঙ্গীরনগরের অভিভাবক ও উপাচার্য হিসেবে ব্যর্থতা স্বীকার করতে সমস্যা কোথায়য়”

রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার সংলগ্ন সড়কে সম্প্রতি ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে জাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।

দর্শন বিভাগের এই অধ্যাপক বলেন, “আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি কোনো দলের কর্মসূচিতে নয়, এটা বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাও আন্দোলন। জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের ব্যানারে দাঁড়িয়েছি বলে রাজনৈতিক বক্তব্য ভাববার কোনো কারণ নেই, পতাকাটা বাঁচানোর প্রশ্ন এসেছে। ১৯৯৮ সাল থেকে আমরা দেখেছি একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল যখন ক্ষমতায় থাকে তাদের ছাত্র সংগঠনের ছত্রচ্ছায়ায় মেধাবী শিক্ষার্থীরা মাদকাসক্ত হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে এবং ক্ষমতায় থেকে ধর্ষক হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে চায়। আমরা জানি র‍্যাব এবং ইউজিসি অভিযোগ তুলেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। আসুন দলমত নির্বিশেষে নিপীড়কের বিরুদ্ধে সবাই সোচ্চার হই।”

প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন প্রশ্ন তোলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন পর্যন্ত কোনো অছাত্রকে হল থেকে বের করতে পেরেছে? এখন পর্যন্ত অছাত্রদের কোনো তালিকা করতে পেরেছে? আমরা দাবি জানাচ্ছি, প্রতিটি হলের বৈধ শিক্ষার্থীদের রুম বরাদ্দের তালিকা প্রকাশ করা হোক। গত বছর জুন মাসে মীর মোশারফ হোসেন হলের শিক্ষার্থী প্রত্যয় হলের অবৈধ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করার জন্য অনশনে বসেছিলেন। তখন প্রশাসন তাকে আশ্বাস দিলেও কোনো কাজ হয়নি। প্রশাসন যদি অছাত্রদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতো, তাহলে আজকে আমাদেরকে এই জঘন্য একটা দিন দেখতে হতো না।”

গণিত বিভাগের অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, “ঠিক ২৫ বছর পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে একইভাবে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে এবং একই ছাত্র সংগঠনের নেতাদের দ্বারা এটি সংগঠিত হয়েছে। নতুন করে যুক্ত হয়েছে মাদক। অসংখ্য শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঝরে গেছে মাদকের ভয়াল থাবায়। আবাসিক হলগুলোতে অবৈধ ছাত্ররা অবাধে থাকছে, চাঁদাবাজি হচ্ছে, মাদকের প্রসার হচ্ছে। উপাচার্য এগুলো জেনেও যদি না জানার ভান করেন, তাহলে তিনি পদে থাকার অযোগ্য।”

ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহী সাত্ত্বারের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক নূরুল ইসলাম, অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, অধ্যাপক নাসরীন সুলতানা, অধ্যাপক আমির হোসেন ভূঁইয়া, অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন প্রমুখ।

গত ৩ জানুয়ারি রাতে জাবি ক্যাম্পাসে এক ব্যক্তিকে ডেকে এনে ছাত্রলীগের সহায়তায় মীর মশাররফ হোসেন হলে জিম্মি করে মামুন নামে এক তরুণ। এরপর ওই ব্যক্তির স্ত্রীকে ডেকে এনে হলসংলগ্ন জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করেন মামুন ও ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজ। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ধর্ষণ,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়,শিক্ষক

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close