• রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

পরকীয়ার জেরে তিনজনকে গুলি করে হত্যা: এএসআইয়ের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশ:  ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৯
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

কুষ্টিয়ায় পরকীয়ার জেরে নিজের স্ত্রী-সন্তান এবং এক তরুণকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার দায়ে পুলিশের বরখাস্ত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সৌমেন রায়কে (৩৪) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।

রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রুহুল আমীন এ রায় দেন। আসামি সৌমেন রায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সৌমেন রায়ের বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের আসবা গ্রামে। তিনি ২০১৫ সালে কনস্টেবল থেকে এএসআই পদে উন্নীত হন। ২০১৬ সালে তিনি কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানায় যোগ দেন। সেখান থেকে মিরপুর থানার হালসা ক্যাম্প, বাগেরহাট থানাসহ বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত ছিলেন। সর্বশেষ খুলনার ফুলতলা থানায় কর্মরত ছিলেন সৌমেন।

মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৩ জুন বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের কাস্টমস মোড় এলাকার নাজ ম্যানশন মার্কেটের বিকাশের দোকানের সামনে স্ত্রী আসমা খাতুন (২৫), তার ছেলে রবিন (৫) এবং আসমার পরকীয়া প্রেমিক শাকিলকে (২৮) সরকারি অস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করেন এএসআই সৌমেন রায়। পুলিশ তাকে ঘটনাস্থল থেকে সার্ভিস রিভলভার, গুলি ও ম্যাগজিনসহ আটক করে।

এ ঘটনায় এএসআই সৌমেনকে বরখাস্ত করে বাহিনী। একই দিন রাতে তাকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা করেন নিহত আসমার মা হাসিনা বেগম। পরদিন (১৪ জুন) বিকেলে কুষ্টিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. এনামুল হকের আদালতে হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন সৌমেন।

২০২২ সালের ৬ নভেম্বর হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন সৌমেন রায়। এরপর কুষ্টিয়া আদালতে বারবার দিন নির্ধারণ করা হলেও তিনি আত্মসমর্পণ করেননি। ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরোয়ানা জারির এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো পলাতক সৌমেন।

প্রসঙ্গত, একটি মামলার সূত্র ধরে কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানায় দায়িত্বরত অবস্থায় এএসআই সৌমেনের সঙ্গে আসমার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তখন সৌমেন তার-পরিচয় গোপন করে “মো. সুমন হোসেন” রাখেন এবং “সুমন” নামেই মুসলিম রীতিতে আসমাকে বিয়ে করেন। সৌমেন আসমার তৃতীয় স্বামী ছিলেন।

বিয়ের পর থেকেই কুষ্টিয়ার আড়ুয়াপাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় তারা বাস করছিলেন।

এএসআই সৌমেন খুলনার ফুলতলা থানায় বদলি হওয়ার পর থেকেই শাকিল নামে এক তরুণের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান আসমা। এ সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি সৌমেন। সেই ক্ষোভ থেকেই প্রকাশ্যে স্ত্রী আসমা, আসমার ছেলে রবিন এবং শাকিলকে গুলি করে হত্যা করেন সৌমেন।

হত্যাকাণ্ড,মৃত্যুদণ্ড,কুষ্টিয়া,পুলিশ

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close