গবিতে রাত পোহালেই পিঠা উৎসব, চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি
রাত পোহালেই সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) পঞ্চমবারের মতো পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের আয়োজন করতে যাচ্ছে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
সম্পর্কিত খবর
যেখানে সকলের নিয়মিত আড্ডার রং ছড়াতো, সেখানে এখন রঙিন আলপনা। বাদামতলা, ট্রান্সপোর্ট চত্বর, বকুলতলা, মূল ফটক, প্রশাসনিক ভবনের সামনের অংশ সবটাতে দৃষ্টি কাড়ছে আলপনা। আড্ডা, গল্প, খেলাধুলা, হৈ-হুল্লোড়, গিটারের টুংটাং শব্দে ক্যাম্পাসে রোমাঞ্চকর পরিবেশ যেন রোজকার চিত্র। আলপনার আঁচড়ে আজ সেই চিত্রের ব্যতিক্রম ঘটেছে। আড্ডা-গানের আসরের পাশাপাশি চিত্রকল্পে চলছে উৎসবের প্রস্তুতি।
শুধু আলপনায় নয়, শিক্ষার্থীরা বাহারি রঙের নকশা ফুটিয়ে তুলেছে মাটির হাঁড়ি, কলাপাতার থালা ও ঝালিতে। ক্যাম্পাসের আশেপাশের মেসে বাতাসে সুবাসিত পিঠার সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। ভাপা, পোয়া, পাটিসাপটা, ঘর কন্যা, কুটুম, হাতকুলিসহ আরও অনেক নাম না জানা পিঠা তৈরী চলবে ভোর রাত পর্যন্ত।
কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে চলছে স্টল সাজানোর শেষ মুহূর্তের কাজ। কোন বিভাগ কত সুন্দর করে স্টল সাজাচ্ছে, তা নিয়ে রীতিমত প্রতিযোগিতা চলছে। কেউ বাঁশের চাটাই, কেউ খড়কুটো, কেউ আবার কলাগাছ দিয়ে স্টল সাজাচ্ছেন গ্রামীণ পরিবেশের আবহে। প্রত্যেকটা স্টলের নামও বাহারি। টোনাটুনির পিঠাঘর, ঢেঁকির বৈঠকখানা, উটুতকার, পিঠা জাদুঘর, পৌষের প্রেম সহ ২৭টি স্টল।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (গবিসাস) উদ্যোগে প্রথমবারের মতো পিঠা উৎসব হয়। এরপর ২০১৭ ও ২০২০ সালে এ উৎসবের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ। সর্বশেষ, গত বছর গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে এ আয়োজন সম্পন্ন হয়।