• রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

খুলনায় চোখে-মুখে আঠা লাগিয়ে ধর্ষণ, আরও তিন আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশ:  ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৬
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

খুলনায় গৃহবধূর চোখ-মুখে আঠা লাগিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় আরও তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তাররা হলেন ঘটনায় সরাসরি জড়িত ইমামুল জোয়াদ্দার ওরফে এনামুল, এনামুলের মা রাশিদা বেগম ও স্বর্ণকার সুমন হালদার। এর আগে, আবদুস সামাদ নামে আরও একজনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ইমামুল ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গৃহবধূর স্বাস্থ্য পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে পাইকগাছার পূর্ব কাশিমনগরের কপিলমুনি এলাকা থেকে ইমামুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে তাজা গুলিসহ একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার ইমামুলের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, গত রবিবার সন্ধ্যায় গৃহবধূর বাড়ির পাশের বাগানে ইমামুল নেশা করতে গিয়েছিলেন। সেখানে গৃহবধূকে একা বাড়িতে দেখে ঘরের সানশেড ধরে ছাদের উঠে সিঁড়ি দিয়ে ঘরে ঢোকেন। তখন ভাতে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে তিনি চলে যান।

পরে রাত দুইটার দিকে একইভাবে আবার ঘরে ঢুকে মূল্যবান জিনিসপত্র খোঁজাখুঁজি শুরু করেন ইমামুল। গৃহবধূর ঘুম ভেঙে গেলে পকেটে থাকা আঠা বের করে ইমামুল গৃহবধূর চোখে ও মুখে লাগিয়ে দেন। এসময় গৃহবধূর সঙ্গে ইমামুলের ধস্তাধস্তি হয়। গৃহবধূর গোঙানির শব্দে পাশের বাড়ি থেকে লোকজন সাড়া দিতে শুরু করলে ইমামুল গৃহবধূর কানের দুল ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যান।

তিনি আরও জানান, লুট করা কানের দুলটি ইমামুলের মা রাশিদা বেগমের মাধ্যমে চুকনগর স্বর্ণ পট্টির মা জুয়েলার্স নামের একটি দোকানে ৫,০০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। যে কারণে ইমামুলের মা ও দোকানমালিক সুমন হালদারকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ইমামুল একজন দুর্ধর্ষ অপরাধী। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৯টি মামলা আছে।

ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী কাঁচামালের ব্যবসা করেন। রবিবার রাতে তিনি বাড়ির বাইরে ছিলেন। পড়ালেখার জন্য তাদের দুই ছেলে-মেয়েও বাইরে থাকেন। রবিবার রাতে দুর্বৃত্তরা পাশের গাছ বেয়ে ছাদে উঠে ঘরে ঢোকে। এরপর ওই গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে চোখে-মুখে আঠা লাগিয়ে ধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ঘরে থাকা নগদ দুই লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় তারা।

এসব অভিযোগে গত মঙ্গলবার রাতে ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে পাইকগাছা থানায় মামলা দায়ের করেন।

ধর্ষণ,খুলনা,গ্রেপ্তার

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close