ভালুকায় শ্যালিকা ধর্ষণের অভিযোগে ভগ্নিপতি আটক

ময়মনসিংহের ভালুকায় হাত-মুখ বেধে এগারো বছর বয়সী শিশু শ্যালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই সময় ওই শিশুর এক বান্ধবীকেও পাশের একটি চেয়ারের সাথে বেঁধে রাখে ধর্ষক। ঘটনাটি উপজেলার ভরাডোবা ইউনিয়নের ভরাডোবা এলাকায়। ওই ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা বাদি হয়ে ভালুকা মডেল থানায় মামলা করেছেন। মামলায় উপজেলার মেদুয়ারী গ্রামের আবদুস ছাত্তারের ছেলে ধর্ষিতার ভগ্নিপতি হিমেলকে (৩০) আসামী করা হয়েছে। অভিযোকারীর বাড়ি ত্রিশালের মোক্ষপুর এলাকায়।

থানা ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদি ও তার বড় মেয়ের জামাতা হিমেল ভরাডোবা এলাকায় পাশাপাশি বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করে আসছেন। বাদি এলাকায় অটো চালান এবং হিমেল স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করে। ঘটনার দিন গত মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারী) সকালে হিমেল পাশের দোকান থেকে কিছু একটা কিনে আনার জন্যে তার শ্যালিকা ও শ্যালিকার বান্ধবীকে তাদের ভাড়াবাড়ি থেকে নিজের ভাড়া করা কক্ষে ডেকে আনে। পরে, ওই দুই শিশু পাশের দোকান থেকে মালামাল নিয়ে হিমেলের কক্ষে গেলে সে শ্যালিকাসহ অপর শিশুর হাত মুখ বেধে ফেলে এবং শ্যালিকাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে টের পেয়ে শিশুর অপর ভগ্নিপতি তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এদিকে, মামলার পরপরই থানা পুলিশ উপজেলা নিঝুরি এলাকা থেকে হিমেলকে গ্রেপ্তার করে।

ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, ওই ঘটনায় মামলা নিয়ে আসামী গ্রেপ্তার করা হয়েছে।