• রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

নারী নির্যাতনের বিচার চেয়ে প্রশাসনকে সাত দিন সময় বেঁধে দিলেন কাদের সিদ্দিকী

প্রকাশ:  ০৬ মার্চ ২০২৪, ১৮:০৪
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

এক প্রবাসীর স্ত্রীকে পেটানোর ঘটনায় টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তার বিচার চেয়ে প্রশাসনকে সাত দিন সময় বেঁধে দিয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই সময় বেঁধে দেন।

গত শনিবার বিকেলে উপজেলার বহুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম ওই নারীকে মারধর করেন। মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই দিন রাতেই ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে সখীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ওই নারী পাঁচ দিন ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

নারী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানের বিচার দাবিতে আজ কাদের সিদ্দিকী সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেন। এরপর দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসাধীন ওই নারীর স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন।

আজ বেলা ২টার দিকে ইউএনও মোহাম্মদ হোসেন পাটোয়ারী বলেন, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর দেওয়া স্মারকলিপি হাতে পেয়েছেন। এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় প্রশাসনকে সাত দিন সময় বেঁধে দিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘এর সুষ্ঠু বিচার না হলে, আমি রাস্তায় বসে পড়ব। একা হলেও বসে থাকব।’

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে এখানে এসেছি। আমি মূলত এসেছি, যাতে এ দেশের নারীসমাজ সম্মানে থাকে। একজন ইউপি চেয়ারম্যান হলেই যাতে নিজেকে সে জাতিসংঘের মহাসচিব না ভাবে। সে যেন না ভাবে, সে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।’

স্থানীয় প্রশাসনের উদ্দেশে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আজ পাঁচ দিন হয়ে গেল ওই নারী নির্যাতনকারী চেয়ারম্যান বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে, অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো কাজ করবে না, তা হবে না। সখীপুরে একজন নারী অপমানিত হয়েছেন, মানে বাংলাদেশ অপমানিত হয়েছে। দেশ ভালো চলছে না। কারও যেন কোনো দায়িত্ববোধ নেই। যারা রাষ্ট্র চালায়, তাদের অধিকাংশকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করা উচিত। কী আর বলব, বঙ্গবন্ধু মরে গেছেন, মওলানা ভাসানী নেই, কাকে কী বলব?’

স্থানীয় সংসদ সদস্য অনুপম শাহজাহানের উদ্দেশে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘নির্বাচিত হওয়ার পরের দিন থেকে তুমি এখন সবার। এই অঞ্চলের সবার জান, মাল ও নারীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব তোমার। অথচ একজন নারী নির্যাতিত হওয়ার পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও ওই ইউপি চেয়ারম্যান দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চুপ করে আছে।’

কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে তাঁর ছোট ভাই আজাদ সিদ্দিকী, উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুস সবুর খান, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র সানোয়ার হোসেনসহ শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শাহিনুর রহমান বলেন, শনিবার রাতে দেওয়া লিখিত অভিযোগটি গতকাল মঙ্গলবার রাতে সখীপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা বিভাগ,রাজনীতি,কাদের সিদ্দিকী,সখীপুর,টাঙ্গাইল

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close