এস আলমের চিনি কারখানায় এখনও শুরু হয়নি উৎপাদন
চট্টগ্রামে এস আলমের চিনি কারখানায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও উৎপাদন শুরু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ বলছে, উৎপাদনে যেতে জোর প্রচেষ্টা চলছে।
সম্পর্কিত খবর
বৃহস্পতিবার পুড়ে যাওয়া চিনির গুদাম পরিদর্শনে গিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, ‘‘পুড়ে যাওয়া গুদামটিতে এক লাখ ১৬ হাজার মেট্রিক টন অপরিশোধিত চিনি ছিল। এর মধ্যে ৮০% চিনি আমরা রক্ষা করতে পেরেছি।’’
তিনি আরও বলেন, “এ ঘটনা তদন্তে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশে এটিই প্রথম চিনি সংক্রান্ত বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। এ থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার আছে।”
এস আলম গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আকতার হাসান বলেন, “পুড়ে যাওয়া গুদামের প্রায় ৮০% চিনি সংরক্ষণ করা হয়েছে। এই অপরিশোধিত শর্করাগুলো বিশুদ্ধকরণের পরে খাওয়া যায় কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য ল্যাব এবং বিএসটিআইতে পাঠানো হবে। যদি তারা একটি ইতিবাচক সংকেত দেয়, তাহলে এগুলো শুদ্ধ করে বাজারে ছাড়া হবে। অন্যথায়, সেখানে ডাম্প করা হবে।”
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, “কারখানা কর্তৃপক্ষের মতে, উপরের স্তরে থাকা চিনির ১০-২০% ক্ষতি হতে পারে, তবে নিচের চিনি ভালো। এটি পুনরুদ্ধার করতে, বিএসটিআই, ফায়ার সার্ভিস এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিভাগের ছাড়পত্র প্রয়োজন। এসব বিভাগ তাদের নিজস্ব তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বা করছে। আমরা প্রতিটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগে চিঠি পাঠাচ্ছি যাতে তারা আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত শুরু বা শেষ করতে পারে। তদন্ত শেষ হলে কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের উদ্ধারের কাজ শুরু করতে পারবে।”
“যদি বিএসটিআই বা সায়েন্স ল্যাব ছাড়পত্র দেয়- চিনি উদ্ধার করে ব্যবহার করা যেতে পারে, তাহলে আমরা কারিগরি কমিটির পরামর্শ নিতে পারি। অগ্নিকাণ্ডের পরপরই সিএমপি কমিশনার, ফায়ার সার্ভিসের ডিজি এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি দল কাজ শুরু করেছে। আমরা আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাব এবং কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা জানাতে পারব,” যোগ করেন তিনি।
সোমবার বিকেলে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকায় এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কারখানার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে শুক্রবারের মধ্যে আগুন পুরোপুরি নিভে গেছে, যদিও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দেওয়া হয়নি।