• রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

ছাত্রলীগ নেতাকে কবরস্থানে মারধর, অভিযোগ মেয়রের ভাইয়ের বিরুদ্ধে

প্রকাশ:  ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৭ | আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩১
জামালপুর প্রতিনিধি:

জামালপুর পৌর কবরস্থানে বাবার কবর জিয়ারত করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন জেলা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ওয়াহিদুল করিম খান তন্ময়। হামলায় আহত তন্ময় প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করেছেন। এঘটনায় জেলা শহরে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আহত ব্যাক্তির স্বজন ও এলাকাবাসী।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে জুম্মার নামাজের পর জামালপুর পৌর কবরস্থানে এই ঘটনা ঘটে। পরে শহরের শহীদ হারুন সড়ক থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল তমাল তলা এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।

আহত ওয়াহিদুল করিম খান তন্ময় শহরের শহিদ হারুণ সড়কের মৃত ফজলুল করমি খানের ছেলে। তিনি জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সাধারন সম্পাদক ছিলেন।

আহত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তন্ময় জানান, জুম্মার নামাজ শেষে জামালপুর পৌর কবরস্থানে বাবার কবর জিয়ারত করতে যান তিনি। জিয়ারত শেষে ফেরার সময় পৌর কবরস্থানের গেইটে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জামালপুর পৌরসভার মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানুর ঘনিষ্ঠ সহকারী আল আমিন, জনি ও রুবেলসহ ১০ থেকে ১৫জন তার উপর অতর্কিত হামলা করে। হামলার এক পর্যায়ে তিনি কবরস্থানের ভেতরে প্রবেশ করলে স্থানীয় লোকজন ও জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক নাঈম রহমান তাকে উদ্ধার করে। পরে তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

আহত তন্ময়ের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে শহরের মার্কেট এরিয়াতে মেয়র ছানুর বড় ভাই আনোয়ারের গাড়ির সাথে আমার গাড়ির ধাক্কা লাগে। এরপর গাড়ির চালকের সাথে আমার বাক বিতন্ডা হয়। সেই বাক বিতন্ডার জেড় ধরে মেয়র ছানুর নির্দেশে ও আনোয়ার হোসেনের উপস্থিতিতে আমার উপর হামলা হয়। হামলায় আমি মাথায় আঘাত পায়। এছাড়াও শরীরের নানা জায়গায় আঘাত পেয়েছি।

আহত তন্ময়ের বড় ভাই রানা বলেন, আমার ছোট ভাইয়ের উপর হামলার ঘটনায় আমরা ইফতারের পরে মামলা করবো। আমি এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানায়।

ঘটনার পরপরই জামালপুর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন আহত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তন্ময়ের সমর্থক ও স্বজনেরা। এসময় তারা মেয়র ছানুর বিপক্ষে শ্লোগান দেন এবং দোষীদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে আইনের আওতায় আনা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন।

অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন বলেন, শুক্রবার আমি বাড়ি থেকেই বের হয় নাই। তন্ময়কে কে বা কারা মেরেছে আমি জানি না। আমার গাড়ির সাথে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি ওই দিন রাতেই আমি তন্ময়ের সাথে ফোনে কথা বলে শেষ করেছি। তন্ময়কে যদি মারতেই হয় তাহলে আমি অন্য লোকজনকে দিয়ে কেনো মারাবো। আমি নিজেই তন্ময়কে শাসন করতে পারি।

এসব বিষয়ে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবির বলেন, আমি ঘটনা সম্পর্কে জেনেছি। এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

এসএফ/

জামালপুর জেলা,ছাত্রলীগ

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close