• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

লোহাগড়ায় উপজেলা নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ

প্রকাশ:  ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০০:৪৪
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

আগামী ২১ মে ২০২৪ দ্বিতীয় ধাপে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নিয়ে হাটবাজারসহ চায়ের দোকানে চলছে নির্বাচনি আলোচনা। প্রার্থীরা নিজ নিজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের প্রার্থিতার কথা প্রচার করছেন। একইসঙ্গে শুভেচ্ছা জানিয়ে ব্যানার, পোস্টার, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে নিজ নিজ সমর্থক নিয়ে গণসংযোগ করছেন।

এবারে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকলে মাঠের পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারে। নির্বাচনে এবার নতুন প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা চোখে পড়ার মতো। এবার লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিকদার আব্দুল হান্নান রুনু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ কে এম ফয়জুল হক রোম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, নড়াইল জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সস্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা শেখ সাজ্জাদ হোসেন মুন্না, জয়পুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা এম এম শরিফুল আলম, সাবেক আইজি আর বীরমুক্তিযোদ্ধা মুন্সি নজরুল ইসলাম।

২০১৯ সালে লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের (নৌকা) প্রতীকের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাশেদুল বাশার ডলার ছিলেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল হান্নান রুনু তাকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বীরমুক্তিযোদ্ধা এস এম আব্দুল হান্নান রুনু বলেন, ‘আমি দীর্ঘ দিন যাবত লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলের হাল ধরে রেখেছিলাম। বিএনপির আমলে হামলা-মামলার শিকার হয়েছি অনেক বার। দুই টার্ম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়ে ১২টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। আশা করি আগামী ২১ মে লোহাগড়ার জনগণ ভোট দিয়ে আমাকে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবে।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ কে এম ফয়জুল হক রোম বলেন, ‘দলমত নির্বিশেষে উপজেলার প্রতি এলাকার ভোটাররা আমাকে ভোট দেবেন। আমি তাদের ভালোবাসা নিয়ে নির্বাচিত হয়ে উপজেলাবাসীর সেবা করতে চাই।’

আরেক সহ-সভাপতি ও কাশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বলেন, ‘দীর্ঘ দিন কয়েক টার্ম ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে উপজেলা সব কয়টি ইউনিয়নের চেয়াম্যানদের সঙ্গে সু-সম্পর্ক রয়েছে, এ জন্য আমি নির্বাচন করতে চাই।’

শেখ সাজ্জাদ হোসেন মুন্না বলেন, ‘ছাত্র জীবন থেকে আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে দলের দুঃসময়ে রাজপথে মিছিল মিটিং করেছি। সাধারণ জনগণের বিপদে-আপদে পাশে থেকেছি। সেই কারণেই জন সাধারণের ভালোবাসা নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে চাই। তাদের সেবা দিতে চাই। ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছি। আওয়ামী লীগ বড় দল, সেই কারণে প্রার্থীর সংখ্যা বেশি থাকবে; সেটাই স্বাভাবিক। দল যেভাবে চাইবে আমরা সেভাবে নির্বাচন করব। সাধারণ ভোটাররা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে বলে আশা রাখি।’

আওয়ামী লীগ নেতা এম এম শরিফুল আলম বলেন, ‘ইতোমধ্যে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে গণসংযোগ করে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করব এবং মানুষের পাশে থেকে সেবা করার চেষ্টা করব।’

সাবেক আইজিআর বীরমুক্তিযোদ্ধা মুন্সী নজরুল ইসলাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যার প্রার্থী হিসেবে এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার ব্যানার টানিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন এবং ভোটারদের দোয়া ও সমর্থন চেয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী সুলতানুজ্জামান সেলিম বলেন, সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনেও অংশ নেবে না বিএনপি। ফলে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্বাচন নিয়ে তেমন আগ্রহ নেই। তবে জামায়াতে ইসলামী উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে বলে ইতোমধ্যে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের তিন জন প্রার্থী পোস্টার দিয়ে শুভেচ্ছা ও সালাম বিনিময় করছেন।

উপজেলা নির্বাচন,নড়াইল,লোহাগড়া

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close