• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

মনোনয়নপত্রে এসএসসি পাস লিখে বেকায়দায় আওয়ামী লীগ নেতা

প্রকাশ:  ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ২১:২৮
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

কুলাউড়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু মিয়া। নির্বাচনী হলফনামায় রেনু মিয়া শিক্ষাগত যোগ্যতা লিখেছেন এসএসসি পাস। আর এতেই দেখা দিয়েছে বিপত্তি। এসএসসি পাসের বিষয় নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন এ নেতা।

অপরদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেনু মিয়া এসএসসি পাস না হয়েও নির্বাচনী হলফনামায় এসএসসি পাস লিখেছেন এমনটাই দাবি করে অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলা আওয়মী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মনোনয়ন স্থগিত করা হলেও রহস্যজনক কারণে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

এ ঘটনায় দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্য। চলছে আলোচনা সমালোচনা। যদিও সেই সিদ্ধান্তের উপর জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করেছেন আসম কামরুল ইসলাম।

জানা যায়, প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাচন আগামী ৮ মার্চ। নির্বাচনী তফশিল অনুযায়ী গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ছিল মনোনয়নপত্র যাছাই বাছাইয়ের শেষদিন। এসময় চেয়ারম্যান প্রার্থী আসম কামরুল ইসলাম লিখিত অভিযোগ দেন সভাপতি চেয়ারম্যানপ্রার্থী রফিকুল ইসলাম রেনুর বিরুদ্ধে।

লিখিত অভিযোগে আসম কামরুল উল্লেখ করেন, চেয়ারম্যানপ্রার্থী রফিকুল ইসলাম রেনু নির্বাচনী হলফনামায় লিখেছেন বশির উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭০ সালে এসএসসি পাস করেছেন। কিন্তু রফিকুল ইসলাম রেনু কোন দিন এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি।

লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন- চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রেনু মিয়ার হলফনামার সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপন করেছেন। রেনু মিয়ার কুলাউড়া উপজেলায় ৩টি আবাসিক ভবন, ঢাকায় ২টি বহুতল ভবন রয়েছে। তা নির্বাচনী হলফনামায় উল্লেখ করেননি। তাছাড়া কুলাউড়ার কৃষি ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক ও ডাকঘর সঞ্চয়পত্রের তথ্য গোপন করেছেন।

এ অভিযোগের আলোকে যাছাই বাছাই পর্বে রফিকুল ইসলাম রেনুর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন মৌলভীবাজার জেলা নির্বাচন অফিসার ও উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা। কিছুক্ষণ পরে সেই মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার।

বশির উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরমান আলী বলেন, '১৯৭০ সালের কোন রেকর্ড আমাদের কাছে তাই। এসএসসি পাস কি না তা স্পষ্ট বলতে পারছি না।'

এ প্রসঙ্গে মৌলভীবাজার জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহীন আকন্দ বলেন, অভিযোগের সাথে কোন প্রমাণ না থাকায় স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

এ বিষয়ে কুলাউড়া উপজেলার আওয়মী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রেনুর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল ইসলাম বলেন, সভাপতি মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন হলফনামায়। রিটার্নিং কর্মকর্তা সিদ্ধান্তে উপর আমি আপিল করেছি।

কুলাউড়া,নির্বাচন,চেয়ারম্যান,আওয়ামী লীগ,এসএসসি

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close