• রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

অডিটরদের ঘুষ দেওয়ার নামে চাঁদা তোলার অভিযোগ তদন্তে কমিটি

প্রকাশ:  ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৪৪ | আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৫১
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

অডিটরদের ঘুষ দেওয়ার নামে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডের ইনচার্জদের কাছ থেকে চাঁদা তোলার ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহম্মদ।

রামেক হাসপাতালের এই কেলেঙ্কারির ঘটনা নিয়ে বুধবার (২৪ এপ্রিল) ‘অডিটরদের খুশি করতে ৫৭ কর্মকর্তা থেকে চাঁদা আদায়’একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহম্মদ জানান, তদন্ত কমিটিকে সাত কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তারা তদন্ত করে তাঁর কাছে প্রতিবেদন দেবেন। তদন্তে যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর এই কাজে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তাহলে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

গত রোববার (২১ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অডিট অধিদপ্তরের তিন কর্মকর্তা হাসপাতালে নিরীক্ষায় আসেন। কাজ শেষে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তারা ফিরে যান। এই অডিটরদের ঘুষ দেওয়ার নামে হাসপাতালের ৫৭টি ওয়ার্ডের ইনচার্জের কাছ থেকে মাথাপিছু ১ হাজার ২০০ টাকা করে তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোতে নার্সিং কর্মকর্তারা ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

হাসপাতালের কয়েকজন ওয়ার্ড ইনচার্জ জানান, হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক সুফিয়া খাতুন ও নার্সিং সুপারভাইজার ময়েজ উদ্দিন নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কামরুন্নাহার পান্নার মাধ্যমে এই চাঁদা তুলেছেন। এই টাকা আসলে ঘুষ হিসেবে অডিটরদের দেওয়া হয়েছে, নাকি ওই তিন কর্মকর্তা নিজেরাই আত্মসাৎ করেছেন তা তারা জানেন না।

নার্সিং সুপারভাইজার ময়েজ উদ্দিন ওয়ার্ড ইনচার্জ ও নার্সদের ফোন করে চাঁদা দিতে বলছেন, এমন একাধিক অডিও রেকর্ডও ফাঁস হয়েছে। এতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘অডিটররা কিছু চাচ্ছে।’ তবে হাসপাতালে অডিট করতে আসা স্বাস্থ্য অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা ও হিসাব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘অডিটে গিয়ে আমরা কোনো টাকা-পয়সা নিইনি।’

চাঁদা,হাসপাতাল,রাজশাহী মেডিকেল কলেজ

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close