তিন বছর বিদ্যুৎ নেই আন্দিপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার আন্দিপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে তিন বছরের বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে এই ক্লিনিকটিতে বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবাগ্রহীতারা। ফলে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। খরতাপে রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) আলমগীর।
সম্পর্কিত খবর
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রামের বিভিন্ন বয়সের মানুষজন সেবা নিতে ক্লিনিকের বারান্দায় ভিড় করেছেন। গরম থেকে বাঁচতে প্রায় সবার হাতে ছিল হাত পাখা। একই চিত্র স্বাস্থ্যকর্মীদেরও। হেলথ প্রভাইডারের এক হাতে পাখা অন্য হাতের সাহায্যে রোগীর যাবতীয় সমস্যা খাতায় লিখতে দেখা গেছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আন্দিপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। এখানে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা ভোগান্তিতে পড়েন। বিশেষ করে মা ও শিশুদের সমস্যা বেশি হয়। প্রত্যাশিত সেবা পেলেও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা না থাকায় গরমে কষ্ট পেতে হচ্ছে।
কমিউনিটি ক্লিনিকটির দিকে তাকিয়ে আঙ্গুল উঁচিয়ে এক রোগীর স্বজন লিটন আলী বলেন, ‘দেখেন ভাই দেখেন আন্দিপুর গ্রামে এই ক্লিনিকটি ছাড়া আর কোনো সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিক নেই। গ্রামের মানুষজন এই ক্লিনিকেই ডাক্তার দেখায়। দুঃখের বিষয় ৩ বছরের বেশি সময় ধরে এখানে বিদ্যুৎ নেই। এখানে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের অনেক কষ্ট করতে হয়। প্রচণ্ড গরমে শিশুরা কান্নাও করে। গরম থেকে বাঁচতে এখানকার ডাক্তারসহ রোগীরা হাত পাখা দিয়ে নিজেরাই নিজেদের বাতাস করেন।’
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, ‘এখনকার যে তাপমাত্রা তাতে এমনি মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। তারই মধ্যে গ্রামের এই ক্লিনিকটিতে রোগী চিকিৎসা নিতে এসে গরমে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এই ক্লিনিকে আসার জন্য নির্দিষ্ট যাতায়াতের কোন রাস্তা নেই। ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি দিয়ে যাতায়াত করতে অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হয় ‘
ক্লিনিকে কর্মরত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) আলমগীর বলেন, ‘২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চালু হয় ক্লিনিকটি। শুরু থেকেই বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। গরমে রোগীদের সেবা দিতে হচ্ছে।’
আন্দিপুর গ্রামের মেম্বার মতিউর রহমান বলেন, এই কমিউনিটি ক্লিনিকের সভাপতি বানিয়েছে আমাকে। আমার জায়গা থেকে একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এই ক্লিনিকের সব সঙ্কটের কথা বলেছি। তাও কাজ হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে ভোলাহাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহবুব আলমকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও সাড়া মেলেনি।