• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

কালবৈশাখী ঝড়ে বাড়িঘর লন্ডভন্ড

প্রকাশ:  ০২ মে ২০২৪, ১৯:৪২
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

কক্সবাজারের পেকুয়ায় কালবৈশাখী ঝড়ের আঘাতে ১৫টি বাড়িঘর লন্ডভন্ড হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) ভোরে উপজেলার উজানটিয়া ও মগনামা শীলখালী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ঝড়ে উজানটিয়া ইউনিয়নের মালেকপাড়া, ফেরাসিঙ্গা পাড়া, ষাড়ধুনিয়া পাড়া, বাজার পাড়া, শীলখালী, মগনামা ইউনিয়নের কালার পাড়াসহ আরও কয়েকটি এলাকা বিধ্বস্ত হয়ে যায়। তাছাড়া উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নগুলোতেও ছোটবড় বহু ঘর আংশিক ভেঙে গেছে। এ ছাড়া রাজাখালী ও মগনামায় বজ্রপাতে ২ লবণ চাষি নিহত হয়েছেন।

উজানটিয়ার বাসিন্দা কক্সবাজার জজ কোর্টের আইনজীবী মীর মোশাররফ হোসেন টিটু বলেন, আমাদের ৮নং ওয়ার্ডের মালেকপাড়ায় কালবৈশাখী ঝড়ে বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে কয়েকটি পরিবার খোলা আকাশের নিচে দিনাতিপাত করছেন। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

উজানটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল করিম বলেন, আমার ইউনিয়নে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে আঘাতে ১০টি বাড়িঘর ভেঙে যায়। যেখানে ৫টি বাড়িঘর সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায় বলে তিনি দাবি করেন। এমনকি বেশকিছু দোকান-ঘরও ভেঙে যায়।

শীলখালী ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন জানান, তার ইউনিয়নে ছোটবড় ৩-৪টি ঘর আংশিক ভেঙে গেছে।

মগনামা ইউিপ সদস্যরা বলেন, আমাদের ইউনিয়নেও ৬-৭টি কৃষকের বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।

এদিকে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে শুকানো খাবার বিতরণ করছি।

এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, বাতাসের প্রবল ঘূর্ণিপাকের কারণে সব কয়টি ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আমি সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। তাছাড়াও ইউপি চেয়ারম্যানরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা দিলে সরকারী অনুদানের ব্যবস্থা করা হবে। এদিকে বজ্রপাতে নিহত দুই লবণ চাষির পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

কালবৈশাখী ঝড়,বাড়িঘর বিধ্বস্ত,কক্সবাজার

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close