• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

বরগুনায় ৩ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

প্রকাশ:  ০৮ মে ২০২৪, ২১:৩৩
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

বরগুনার তালতলীতে এক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, দুই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী নারীর বাবা বাদী হয়ে বুধবার (৮ মে) জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেছেন। মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে সাত দিনের মধ্যে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও সিনিয়র জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান।

আসামিরা হলেন- তালতলী উপজেলার নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বাচ্চু মিয়া, পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ. রাজ্জাক হাওলাদার, তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রেজবি উল কবীর জোমাদ্দার এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠু।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সঙ্গে মুঠোফোনে তার মেয়ের পরিচয় হয়। এরপর মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে রাখা হয়। ওই ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে এরপর সংঘবদ্ধভাবে অন্য আসামিরা ধর্ষণ করেন তার মেয়েকে।

নারী ও শিশু আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আদালতের প্রক্রিয়া শেষে পটুয়াখালী পিবিআই প্রধানকে বুধবার বিকালে বিচারকের স্বাক্ষরিত নথি পাঠানো হয়েছে।

মামলার বাদী বলেন, আমার মেয়ে কৌশলে ধর্ষকদের হাত থেকে ছুটে আসে। আমি তালতলী থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা নেয়নি। এরপর আমার মেয়ের বিরুদ্ধে কামরুজ্জামান বাচ্চু পর্নোগ্রাফি আইনে মিথ্যা মামলা করেন। ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলখানা থেকে আমার মেয়েকে তলব দিয়ে আদালতে তোলেন। আমার মেয়ে আদালতে বলেছে, ওই আসামিরা তাকে ধর্ষণ করেছেন।

আসামি কামরুজ্জামান বাচ্চু ও উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবি উল কবির বলেন, সুপার এডিট করে ভিডিও বানিয়ে শত্রুপক্ষ আমাদের সম্মান নষ্ট করেছে। আমরা কোনো অপরাধ করিনি।

এর আগে, গত ১২ এপ্রিল নিশানবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বাচ্চুর করা পর্নোগ্রাফি আইনে করা মামলায় ওই নারীকে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে কারাগারে পাঠায় আদালত।

মামলা,ধর্ষণ,আদালত

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close