• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

শরীয়তপুরে নির্বাচনী সহিংসতায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ আহত ৮

প্রকাশ:  ০৯ মে ২০২৪, ১৮:৩৮
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ আট জন আহত হয়েছে। এ সময় বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। বুধবার (৯ মে) সন্ধ্যায় ও রাতে উপজেলার নশাসন ইউনিয়নের ডগ্রী বাজার ও মাদবর কান্দিতে সহিংসতা হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নয় জনকে আটক করেছে।

আহত হয়েছেন উপজেলার নশাসন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন তালুকদার (৬০), মাহবুব ফকির (৩৫), নুরুজ্জামান হাওলাদার (৪৫), আব্দুর রহমান ঢালী (২৫), লুৎফা বেগম (৫৫) ও মাহিম মাদবর (১০) সহ আট জন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বুধবার (৮ মে) নড়িয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হয়। সেই নির্বাচনে একেএম ইসমাইল হক মোটরসাইকেল প্রতীক ও মামুন সিকদার ঘোড়া প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। উপজেলার নশাসন ইউনিয়নের উদয়তারা ভোটকেন্দ্রে ভোট গণনা শেষে দেখা যায়, মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী ১৩০ ভোট বেশি পেয়েছেন। এছাড়া নশাসন ইউনিয়নের তিনটি কেন্দ্রে মোটরসাইকেল প্রতীক জয়ী হয়। ভোট বেশি পাওয়ায় ইসমাইল হকের সমর্থক নশাসন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল আমীন রতন ও তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজন স্থানীয় ডগ্রী বাজারে আনন্দ মিছিল বের করে। পরে বিকাল ও রাতে মামুন সিকদারের সমর্থক নশাসন ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন তালুকদার ও তাঁর লোকজনের সঙ্গে ইসমাইল হকের সমর্থকদের ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়। দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন তালুকদারসহ দুই পক্ষের অন্তত আট জন আহত হয়। আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল, জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। গুরুতর আহত দেলোয়ার, মাহবুব ও নুরুজ্জামানকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে। পরে রাতে উভয়পক্ষের ১০/১৫টি বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়। ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি।

বিজয়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম ইসমাইল হকের সমর্থক আনোয়ার হোসেন লিটন হওলাদার বলেন, ‘আমাদের চেয়ারম্যান প্রার্থী একেএম ইসমাইল হক বিজয়ী হওয়ায় আমরা আনন্দ মিছিল বের করি। মিছিলটি ডগ্রী বাজারে যায়। পরে দেলোয়ার চেয়ারম্যানের লোকজন মিছিলে বাধা দিলে দুই পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাতে আমাদের পক্ষের নূরুল আমীন রতন ভাইকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরে আমাদের জাহাঙ্গীর মাদবর, হাবিব মাদবর, হাসান মাদবরসহ ১০-১৫ জনের ঘর ভাংচুর চালায় দেলোয়ার তালুকদারের লোকজন।’

উপজেলা পরিষদের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মামুন সিকদার (ঘোড়া প্রতীক) বলেন, ‘ইসমাইল হকের সমর্থকরা মিছিল বের করে আমার পক্ষের ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন তালুকদারের বাড়ি ভাঙচুর করে। এ ছাড়া তারা দেলোয়ার হোসেন তালুকদারসহ ৩-৪ জনকে হামলা করে আহত করেছে।’

নড়িয়া থানার তদন্ত (ওসি) আবির হোসেন বলেন, নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনাস্থল থেকে নয় জনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনও মামলা হয়নি।

শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম বলেন, ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

সহিংসতা,নির্বাচন,শরীয়তপুর

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close