• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

রাজশাহী নগরী নিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা ঘোষণা করলেন মেয়র

প্রকাশ:  ০৯ মে ২০২৪, ১৯:৫২
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

রাজশাহী নগরী নিয়ে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে নগর ভবনের সিটি হল সভাকক্ষে নগরীর চলমান উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিতকরণের লক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মেয়র এই পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। এ সময় শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে মেয়র লিটন বলেন, ৫ বছরের স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, ব্যাপক কর্মসংস্থান এবং বেকারত্ব হ্রাস ও উদ্যোক্তা সৃষ্টি। পাশাপাশি নদী ও বরেন্দ্র অঞ্চলভিত্তিক আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা। সিটি করপোরেশনের এলাকা সম্প্রসারণ করাও এই পরিকল্পনার অংশ। প্রাকৃতিক জলাশয় সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প; কঠিন বর্জ্য সংগ্রহ এবং অপসারণ ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন; নগরীর কুমারপাড়া গুলগোফুর পেট্রোল পাম্প থেকে সাহেব বাজার বড় মসজিদ, বড়কুঠি, পাঠানপাড়া, শিমুলতলা ক্লাব হয়ে ফায়ারব্রিগেড মোড় পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্প আছে স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনায়।

এ ছাড়া রাজশাহী মহানগরীর চকপাড়া এলাকায় স্যাটেলাইট টাউন উন্নয়ন প্রকল্প; রাজশাহী মহানগরীর ওয়ার্ড পর্যায়ে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সড়কবাতিতে আলোকায়ন ব্যবস্থার উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক নৌবন্দর স্থাপন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, রাজশাহী-কলকাতা ট্রেন ও বাস চলাচল চালু করা এবং বঙ্গবন্ধু রিভারসিটির কার্যক্রম শুরু করা আছে স্বল্পমেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনায়।

দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, ১৫০ শয্যার সিটি হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্প, নগরীর সম্প্রসারিত এলাকায় সড়ক নেটওয়ার্কের উন্নয়ন, শহরে ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থাপনার অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নওদাপাড়া এলাকায় পরিচ্ছন্ন কর্মনিবাস নির্মাণ ও শেখ রাসেল সায়েন্স সিটি ও সাফারি পার্ক নির্মাণ প্রকল্প। রাজশাহী মহানগরীর ফ্লাইওভার/ওভারপাস/আন্ডার পাস নির্মাণ প্রকল্পও রয়েছে এই পরিকল্পনায়। ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে থাকবে ট্রাম সার্ভিস।

মেয়র বলেন, রেলের মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী শীঘ্রই ট্রেন চলাচলের জন্য রেলের ডাবল লাইন হতে যাচ্ছে। চালু হতে যাচ্ছে ডাবল ডেকার ট্রেন। কোর্ট স্টেশন সংলগ্ন নির্মিতব্য ইয়ার্ডে ভারত ও নেপাল থেকে আনা পণ্য সামগ্রী নামানো ও উঠানো হবে। আরডিএ এর মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী সিটি এলাকা উত্তর দিকে বৃদ্ধি পাবে। ফলে উত্তর-দক্ষিণে চলাচল বাড়বে। রাজশাহী সিটির আয়তন তিন থেকে চারগুণ বৃদ্ধির কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। শহরের মধ্যে রেলক্রসিংগুলোতে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে। আগামীতে মানুষ ও যানবাহন সংখ্যাধিক্যের কারণে শহরের উত্তর-দক্ষিণে চলাচল ক্রমবৃদ্ধিতে ভবিষ্যতে যানজটসহ দুর্ঘটনাও বাড়বে। সার্বিক দিক বিবেচনায় জনস্বার্থকে গুরুত্ব দিয়ে দুর্ঘটনারোধ ও নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত এবং ভবিষ্যতে উদ্ভূত যানজট নিরসনে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আগামী ৫০-১০০ বছরের বাস্তবতায় রাজশাহী মহানগরীতে রেলক্রসিং-এ ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া বর্তমান মুহুর্তে ফ্লাইওভার তৈরি করা না হলে ভবিষ্যতে তা করা কঠিন হবে, নির্মাণ ব্যয় বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। আপাতদৃষ্টিতে ফ্লাইওভারের ব্যবহার সীমিত মনে হলেও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় ফ্লাইওভার নির্মাণ অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত।

তিনি বলেন, ফ্লাইওভারসহ নগরীতে যখন নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়নে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলমান রয়েছে, ঠিক সেই সময়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ নিয়ে কিছু বিভ্রান্তকর তথ্য প্রচারিত হচ্ছে। বিষয়টি দুঃখজনক। মহানগরীর উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) চেয়ারম্যান জিয়াউল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন প্রামাণিক, প্যানেল মেয়র-১ নিযাম উল আযীম, প্যানেল মেয়র-২ আব্দুল মোমিন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, রজব আলী, আনোয়ার হোসেন আনার, বেলাল আহম্মেদ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রাসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোস্তাফিজ মিশু।

রাজশাহী,মেয়র,সংবাদ সম্মেলন

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close