• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

রাজনীতিতে নতুন কৌশল সুফি ফারুকের

প্রকাশ:  ০১ নভেম্বর ২০১৮, ১১:০৪
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

দেশজুড়ে নির্বাচনের আমেজ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তোরণ, পোস্টার, ফেস্টুন, বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে দেশ। নির্দিষ্ট কিছু আসন ছাড়া সব জায়গায় আড্ডা আলোচনার প্রধান ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে, কে হবে নৌকার মাঝি, কে পাবে ধানের শীষ।

মনোনয়ন প্রত্যাশীরা এবং তাদের কর্মীরা দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করতে দিনরাত এক করে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক তথ্যপ্রযুক্তিবিদ সুফি ফারুক। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা যখন শোভাযাত্রার মোটরসাইকেলের সংখ্যা, জনসভার লোক সমাগম কিংবা তোরণ-ফেস্টুন-পোস্টার-বিলবোর্ডের সংখ্যা দিয়ে নিজেদের জনসমর্থন প্রকাশে ব্যস্ত ঠিক তখন অনেকটা ব্যতিক্রমী কর্মসূচি ও প্রচার তার। টার্গেট করে ফ্লোটিং ভোটারদের নিয়ে কাজ করছে সে। উদ্দেশ্য ১০ % ফ্লোটিং ভোটারের ভোট নিজের পক্ষে নিশ্চিত করা। পাশাপাশি অন্তত ৮৩ ভাগ ভোটরের সাথে সরাসরি যোগাযোগ। মাধ্যম প্রধানত প্রযুক্তি আর ছোট ছোট কর্মী দল।

নিজেদের পারিবারিক ভোট ব্যাংক থাকার পরেও সুফি ফারুক “কুমারখালী-খোকসায় একটি শিক্ষিত, দক্ষ, কর্মঠ, রুচিশীল ও মানবিক প্রজন্ম তৈরিই আমার জয় বাংলা" শ্লোগান নিয়ে কুষ্টিয়া-৪ আসনের ৩,৫১,০৬৩ জন ভোটারের কাছে পৌঁছাতে কাজ করছে। ২০০৭ সাল থেকে পুরো ভোটারের ১০ শতাংশ নির্দলীয় তরুণ ও মহিলা (ফ্লোটিং) ভোটার টার্গেট করে, বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে নিজের সাথে যুক্ত করেছেন। পেশা, পরামর্শ সভা, মা বোনদের বিশেষ পরামর্শ সভা, শেখ হাসিনা কমিউনিটি সেলাই কেন্দ্র, তথ্য প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ, দর্জি প্রশিক্ষণ, বিউটিশিয়ান প্রশিক্ষণ, শেখ হাসিনা হেলথ ক্যাম্প, পড় মুজিব, শিক্ষা বৃত্তি, হাট পরিক্রমা সহ মোট ১৪টি নিয়মিত কর্মসূচি চালাচ্ছেন। পাশাপাশি সামাজিক অবকাঠামো নির্মাণে সহায়তা, খেলার সরঞ্জাম সরবরাহ করছেন। সকল সুবিধাভোগীর যোগাযোগের নম্বর নিবন্ধন করে, কল সেন্টারের মাধ্যমে নিয়মিত প্রতিদিন যোগাযোগ রাখছে। প্রতিটি উপলক্ষে ভোটারদের মোবাইলে মেসেজ দেয়া হচ্ছে। ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমোর মাধ্যমেও ভোটারদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। ছোট ছোট কর্মীদল ভোটারদের নিয়ে বিভিন্ন উপলক্ষে এক হচ্ছে। সুফি ফারুক বিশ্বাস করেন, দলের ভোট ব্যাংকের সাথে এই ভোট যুক্ত করতে পারলে নৌকার বিজয় নিশ্চিত। দুটি উপজেলায় অফিস নিয়ে, প্রতি গ্রামে প্রশিক্ষিত কর্মী বানিয়ে, পেশাদারী সমন্বয়ের মাধ্যমে সে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করছে সে।

কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম বলেন, কুষ্টিয়া-৪ আসনের ২টি পৌরসভা এবং ২০টি ইউনিয়নের ৩১১টা গ্রামে সুফি ফারুক একাধিকবার গিয়েছেন, প্রতি মহল্লায় অন্তত দুজন কর্মী তৈরি করেছেন। যেহেতু ভোটাররা পছন্দ করেন প্রার্থী বা তার পক্ষ থেকে গ্রহণযোগ্য কেউ নিজে এসে তাদের কাছে ভোট চাইবে। তাই সুফি ভাই জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে সকলের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নৌকার পক্ষে ভোট চাচ্ছেন। তার লক্ষ নৌকার ভোট বাড়ানো, বারবার-শো-ডাউন দিয়ে লোক দেখানো নয়।

কুমারখালী উপজেলার যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক লিটন হোসেন বলেন, সুফি ফারুক শতভাগ ভোটারের কাছে পৌঁছাতে প্রযুক্তি ব্যবহার করে যে ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তাতে হলফ করে বলা যায় তিনি আওয়ামী লীগের টিকিট পেলে নির্দলীয় তরুণ ও মহিলা (ফ্লোটিং) ভোটারদের ভোট নৌকার বক্সে আনতে পারবেন।

কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সুভাষ দত্ত মনে করেন, দীর্ঘ সময় ধরে তরুণ ও মহিলাদের জন্য বিশেষায়িত কর্মসূচী ও অভিনব ডিজিটাল প্রচারের ফলে সুফির আলাদা জনপ্রিয়তা আছে। তাছাড়া সে সুদর্শন, সুন্দর ব্যবহার, ক্লিন ইমেজর কারণে, তাকে দিয়ে সর্বাধিক নির্দলীয় ভোটারদের আকর্ষণ করা সম্ভব।

/পি.এস

কুষ্টিয়া,রাজনীতি

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close