কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদের উপ-নির্বাচনে প্রার্থীর মা-স্ত্রীর উপর হামলা

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার উপ-নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান বিজুর মা, স্ত্রী ও ভাইয়ের উপর হামলা ঘটনা ঘটেছে। হামলায় মেয়র প্রার্থীর মা রাশিদা বেগম ও স্ত্রী শাহিনুর বেগম, ভাই লাবলুসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান বিজুর মা ও স্ত্রীসহ তার ভাই মোস্তাক আহমেদ লাভলুকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে পৌরসভাধীন চাঁচড়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান বিজুর অভিযোগ, তার পরিবারের সদস্য ও নেতাকর্মীরা নির্বাচনী প্রচারণায় গেলে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সমর্থকরা এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি বলেন, তিনি যুবলীগ নেতা এবং সাবেক পৌর মেয়র। এবার নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোবাইল ফোন মার্কায় নির্বাচন করছেন। প্রতিপক্ষরা তার বিজয় নিশ্চিত জেনে হামলা করে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার বিকালে কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদের উপ-নির্বাচনে প্রার্থী সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বিজুর মা রাশিদা বেগম ও স্ত্রী শাহিনুর বেগমের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি দল পৌরসভার চাচড়া গ্রামে গণসংযোগে বের হয়। বিকাল তিনটার দিকে তারা পৌরসভাধীন চাঁচড়া গ্রামে পৌছালে একদল সশস্ত্র যুবক তাদের উপর হামলা করে। এসময় তারা মেয়র প্রার্থী বিজুর মা ও স্ত্রীর উপর বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। এতে বিজুর মা-স্ত্রীসহ রাহেলা বেগম, মোস্তাক আহমেদ ও রবিউল ইসলামসহ মোট ৫ জন আহত হয়। এসময় স্থানীয়দের সহযোগীতায় তাদের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শম্পা মোদক জানান, সাবেক মেয়র মোস্তাফিজুর রহমানের মা ও স্ত্রী ভাই মোস্তাক আহমেদ লাবলু, কর্মী রবিউল ইসলাম রুবেলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে তাদের অবস্থায় আশঙ্কাজনক নয়।

কালীগঞ্জ থানার ওসি ইউনুচ আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা নির্বাচন অফিসার মেহেদী হাসান বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি তবে এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি মোস্তাফিজুর রহমান বিজুর মোবাইল প্রতীকের এক হাজার পোস্টার পুড়িয়ে দেয়। এঘটনায় কালীগঞ্জ রিটানিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। আগামি ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম শ্রেণির এই পৌরসভাটির উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পৌরসভার এবার মোট ভোটার ৩৮হাজার ৫শ ৮৮ জন। ২০১৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মকছেদ আলী বিশ্বাস হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার মৃত্যুতে পৌর মেয়র পদ শুন্য হয়।

/পিবিডি/পি.এস