না'গঞ্জে শাহ আলমগীরের স্মরণসভা
সদ্য প্রয়াত বিশিষ্ট সংবাদিক ও বাংলাদেশ প্রেস ইনিষ্টিউটের মহাপরিচালক শাহ আলমগীর স্মরণে নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত স্মরণসভায় আগামী প্রজন্মের জন্য শাহ আলমগীরের স্মৃতি সংরক্ষণের জোড় দাবী জানানো হয়েছে।
রোববার (৩ মার্চ) বিকেলে নগরীর চাষাঢ়ায় জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্য্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় বক্তারা শাহ আলমগীরের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সরকারের কাছে এ দাবী জানান।
সম্পর্কিত খবর
নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের (এনইউজে) সভাপতি আবদুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় প্রয়াত শাহ আলমগীরকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজের) সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাসুম, নারায়ণগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ রুমন রেজা, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান শামীম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাফিজ আশরাফ, আবু সাউদ মাসুদ, শরীফউদ্দিন সবুজ ও এনইউজের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি।
স্মরণসভায় নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ শাহ আলমগীরের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন,১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যে কয়জন সাংবাদিক লেখনীর মাধ্যমে এর প্রতিবাদ করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন শাহ আলমগীর। একই সাথে তিনি ছিলেন সততা এবং আদর্শের প্রতীক।
তিনি বলেন, প্রয়াত সাংবাদিক শাহ আলমগীর ভাই আমার অত্যন্ত কাছের ও শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি ছিলেন। ঢাকায় বিভিন্ন মিটিং এ আসলে আমার সাথে তাঁর দেখা হতো এবং তিনি আমাকে খুব স্নেহ করতেন। আজকে যারা সাংবাদিকতা করেন তাদের কাছে অনুকরণীয় ব্যক্তি হচ্ছেন শাহ আলমগীর। পুলিশ সুপার এসময় নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকদের কথা তুলে ধরে বলেন, তারা অনেকেই আছেন অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারেন। তারা নারায়ণগঞ্জের সন্ত্রাস,মাদক ও ভুমি দস্যুদের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। এ শহরের সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে আমরা পুলিশ বাহিনী শহর থেকে মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত নারায়ণগঞ্জ গড়ে তুলতে চাই।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএ্ফইউজে) মহাসচিব শাবান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকতা জগতে সততা এবং আদর্শের প্রতীক ছিলেন শাহ আলমগীর। একই সাথে তিনি ছিলেন সাংবাদিক সংগঠনের যোগ্য নেতা। তিনি দীর্ঘ সাত বছর পিআইবিক মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালনকালে সারা বাংলাদেশের সাংবাদিকদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিলেন। গণমাধ্যম কর্মীদের পেশাগত বিকাশ এবং উৎকর্ষ সাধনেও শাহ আলমগীর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএ্ফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল বলেন,শাহ আলমগীর আমাদের নেতা ছিলেন যিনি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে শিখিয়েছেন। সাংবাদিকদের রুটি রুজির আন্দোলনে একজন কর্মময় নেতাকে আমরা হারিয়েছি। আজকে অনেকেই সাংবাদিকদের অধিকারের কথা বলে নেতা হচ্ছেন। কিন্তু শাহ আলমগীরের মতো নেতারা কখনো মালিকদের কাছে বিক্্ির হননি।তাকে হারিয়ে আমরা একজন সৎ ও সাহসী নেতাকে হারিয়েছি।
মোল্লা জালাল আরো বলেন, শাহ আলমগীর শুধু একজন ভালো মানুষই ছিলেন না, একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবেও নিজের যোগ্যতার প্রমান রেখেছেন। তার চিন্তা চেতনার গ্রহণযোগ্যতার কারনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেও অত্যন্ত আস্থাভাজন হয়েছিলেন। পিআইবি’র ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে যে ধারণা তিনি দিয়েছিলেন, তার বাস্তবায়ন করে প্রমানও দিয়ে গেছেন।
স্রণসভায় বক্তারা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক,পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের অসুস্থতার অবস্থার কথা তুলে ধরে তার সুস্থতা কামনা করেন। স্মরণসভা শেষে ওবায়দুল কাদেরের সুস্থতার জন্য এবং শাহ আলমগীরের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
পিবিডি/এআইএস