• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

আইভীর গাড়িতে কি হয়েছিল?

প্রকাশ:  ০৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ১০:০৩
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে বহনকারী সরকারি জীপের পেছনের চাকার ছয়টি নাট খুলে পড়ে যাওয়াকে অস্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছেন মেয়র আইভী। বুধবার বিকালে তিনি এ মন্তব্য জানান।

গত শনিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের মরদেহে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে যাওয়ার পথে বনানী চেয়ারম্যান বাড়ির সামনে রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। চলন্ত গাড়ির পেছনের চাকার ছয়টি নাট খুলে পড়ে চাকা খুলে যায়। এতে অল্পের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান মেয়র আইভী। পরে তিনি অন্য একটি গাড়িতে চড়ে আর্মি স্টেডিয়ামে যান।

সম্পর্কিত খবর

    এদিকে মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর সরকারি জীপের চাকা খুলে পড়ে যাওয়া কি নিছক দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পানা তা খতিয়ে দেখতে মাঠে নেমেছে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মঈনুল হক।

    নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী জানান, গত শনিবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের জানাজায় অংশ নিতে নারায়ণগঞ্জ থেকে তার সরকারি জীপে চড়ে তিনি যাচ্ছিলেন। পথে বনানী সিগন্যাল এলাকায় শব্দ শুনতে পেয়ে চালক সড়কের পাশে জীপটি থামান। তিনি গাড়ি থামিয়ে চেক করে দেখতে পান গাড়ির বাম পাশের চাকার ছয়টি নাটের মধ্যে তিনটি নাই। আর যে তিনটি নাট আছে সেটিও খুলে গিয়েছিল। পরে তিনি ( মেয়র) অন্য একটি গাড়িতে চড়ে জানাজায় অংশ নিতে যান।

    তিনি বলেন, ‘আগে নগর ভবনের গ্যারেজে গাড়িটি রাখা হতো। কিন্তু নগর ভবনে বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ চলায় বর্তমানে মেয়রের গাড়ি নগরীর মন্ডলপাড়া ব্রিজ সংলগ্ন সিটি করপোরেশনের গ্যারেজে রাখা হয়। যেখানে অন্যান্য গাড়িও থাকে।’

    মেয়র আইভী বলেন, ‘একসঙ্গে একটি চাকার ছয়টি নাট খুলে যাওয়া অস্বাভাবিক। বিষয়টি শঙ্কার।’ তিনি বলেন, ‘ওই সময় গাড়িটি চালাচ্ছিলেন ড্রাইভার বিল্লাল হোসেন। তবে গাড়ির চালকের ওপর আমার আস্থা আছে। তাকে তিনি কোনও সন্দেহ করেন না।’

    এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী এহতেশামুল হক জানান, মেয়রকে বহনকারী গাড়িটির নাট খুলে পড়ে যাওয়ার বিষয়ে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, ‘আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে বিষয়টি স্থানীয় গণমাধ্যমে দেখে পুলিশকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে পুলিশ মেয়রের সঙ্গে কথা বলেছে। মেয়রের বক্তব্য শুনে মনে হয়েছে, কেউ আগে থেকে গাড়ির নাট আলগা করে রেখেছে।’

    নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শাহীন পারভেজ জানান, ‘চালকবিল্লাল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। গাড়িটি রাখার গ্যারেজ পরিদর্শন করেছি। ওই গাড়ির পাশে আর কোন কোন গাড়ি থাকে, সে সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close