• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

শরিকদের কাছে জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থী চাইলেন খালেদা

প্রকাশ:  ১১ ডিসেম্বর ২০১৭, ১২:০২ | আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৫:১২
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোটের শরিক দলগুলোর কাছে প্রার্থী তালিকা চেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। জোটের অন্যতম শরিক দল জামায়াতে ইসলামীর কাছে মৌখিকভাবে তালিকা চাওয়ার পাশাপাশি অন্য দলগুলোর কাছেও প্রার্থী তালিকা চাওয়া হয়েছে বলে বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র থেকে জানা যায়।

জানা যায়, জোটের শরিকদের জন্য অর্ধশত আসন ছেড়ে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। এ ছাড়া সরকারবিরোধী অন্য দলগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতা হলে তাদের জন্যও বেশ কিছু আসন ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। এক্ষেত্রে বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে বিএনপি।

সম্পর্কিত খবর

    এ প্রসঙ্গে গতকাল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছিলেন, ‘বিএনপি জোটগতভাবেই নির্বাচনে যাবে। দলের দুঃসময়ে জোট ছিল, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে জোট ভাঙার ষড়যন্ত্র চলছে। তবে জোটে আসন ভাগাভাগি নিয়ে এখনই গণমাধ্যমে বলার সময় আসেনি। ’

    এখন পর্যন্ত জামায়াত কোনো প্রার্থী তালিকা বিএনপিকে দেয়নি। তবে দলটি প্রার্থী তালিকা তৈরি করছে বলে জানা যায়। চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনে থাকা অবস্থায় ঢাকায় বিএনপি ও জামায়াতের মহাসচিব পর্যায়ে বৈঠক হয়। ওই বৈঠকেই বিএনপির পক্ষ থেকে জামায়াতের কাছে তাদের প্রার্থী তালিকা চাওয়া হয়। এর জবাবে কোন কোন আসন জামায়াতকে ছাড়তে চায়- এমন একটি তালিকা বিএনপির কাছে চাওয়া হয়।

    ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী পরিস্থিতির কারণে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে জামায়াতকে ৩৮ আসন দিয়েছিল বিএনপি। জামায়াতের এক নেতা বলেন, জামায়াত বিএনপির কাছে অর্ধশত আসন চাইবে। ইতিমধ্যে এসব আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। কিছু আসনে দ্বন্দ্ব থাকায় এখনো তা সম্পন্ন করা যায়নি।

    তবে বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, জামায়াত চাইলেই তো আর পাবে না। একদিকে তাদের নিজস্ব কোনো প্রতীক নেই। তারপরও দলটির প্রথম সারির নেতারা যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হয়েছে। আরও বেশ কয়েকজন জামায়াত নেতা যুদ্ধাপরাধে ফাঁসির রায়সহ নানা মেয়াদে দণ্ড হয়েছে। অনেকের বিচারকার্যও চলছে। এই অবস্থায় তাদের প্রভাবশালী নেতাদের সংখ্যা খুবই কম। এ ছাড়া জামায়াত সাংগঠনিকভাবেও আগের মতো শক্তিশালী নয়। বিএনপিও আগের মতো জামায়াতকে কাছের বন্ধু মনে করে না। জামায়াতের বর্তমান নেতাদের নিয়েও সরকারের সঙ্গে নতুন বন্ধুত্বসহ নানা নেতিবাচক গুঞ্জন রয়েছে।

    ৮ম ও ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটগতভাবে জামায়াতের সফলতা আশব্যঞ্জক নয়। প্রথমবার ২৯টি আসনে নির্বাচন করে মাত্র ১৭টি আসনে জয়লাভ করে। এর পরে ৩৩টি আসনে নির্বাচন করে জয়লাভ করে মাত্র ২টি আসনে। তাই এবার বিএনপির পক্ষ থেকে দলটিকে ১৫ থেকে বিশটি আসনে জোটগত মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জামায়াতের শীর্ষ নেতারাও এক্ষেত্রে অনেকটা নমনীয়।

    কেকে ফ্রান্সের পথে প্রধানমন্ত্রী

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close