কম্পন-সুনামির পর এবার ছাই উড়াচ্ছে আগ্নেয়গিরি

সুনামি বিপর্যয় এখনও কাটেনি। এর মধ্যেই বুধবার (০৩ অক্টোবর) ঘুম ভাঙল মধ্য ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরির। সকাল থেকেই উত্তর সুলাওয়েসি অঞ্চলে বাতাসে প্রায় ছয় হাজার মিটার জুড়ে ছাই ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এখনও পর্যন্ত ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের সরিয়ে আনার ব্যাপারে কোনও নির্দেশ দেয়নি সরকার।

ইন্দোনেশিয়ার এক সরকারি আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞের মতে, রিখটার স্কেলে ৭.৫ এর মতো উচ্চ কম্পন মাত্রার ভূমিকম্পের জেরে অগ্ন্যুৎপাত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু সুনামির সঙ্গে অগ্ন্যুৎপাতের সরাসরি কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে গত

আগস্ট মাস থেকেই একটু একটু করে ঘুম ভাঙছে সপুটান আগ্নেয়গিরির।

চারদিনের ব্যবধানে দু’বার ভূমিকম্পের কবলে পড়ল ইন্দোনেশিয়া। মঙ্গলবার সকালে ফের ইন্দোনেশিয়ার সুম্বা দ্বীপে কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.৯। প্রথম কম্পনের মিনিট ১৫ পরেই ফের কেঁপে ওঠে সুম্বা। দ্বিতীয় কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.০। তবে এই দুই কম্পনের ফলে আপাতত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এর আগে ২৮ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে ভূকম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৫। কম্পনের রেশ কাটতে না কাটতেই সুনামি আছড়ে পড়ে সুলাওয়েসি দ্বীপের পালু শহরে। প্রায় ২০ ফুট উচ্চতায় পৌঁছায় সুনামির ঢেউ। এতে ব্যপকভাবে বিপর্যস্ত হয় সুলাওয়েসি দ্বীপের পালু শহর। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। সম্প্রতি পাওয়া খবর অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ১৪০০ ছুঁয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার আরেক ভূতাত্ত্বিক নাজলি ইসমাইল অগ্ন্যুৎপাত প্রসঙ্গে বলেছেন, ভূমিকম্প বা সুনামির পর ‘বাটারফ্লাই এফেক্ট’ এর কারণে বড় কোনও বিপর্যয় আসতেই পারে। তবে এক্ষেত্রে সুনামির সঙ্গে আগ্নেয়গিরির জেগে ওঠার মধ্যে সরাসরি কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না, সে সম্পর্কে সুনিশ্চিত হওয়ার জন্য তদন্ত প্রয়োজন।

/অ-ভি