প্রভা আত্মহত্যা করলে কি আপনারা জিতে যাবেন?

সাদিয়া জাহান প্রভাকে নতুন করে কারো কাছে পরিচয় করিয়ে দেয়ার তাগিদ অনুভব করছি না। পদ্মার ওপারে শরিয়তপুরে সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্ম হয় মেয়েটির ১৯৮৮ সালের ফেব্রুয়ারি ১৩। বয়সে আমার সমসাময়িক হবার পরও জনপ্রিয়তা এবং অভিনয় দক্ষতায় নিজের অবস্থান গড়েছেন সুচারুভাবে। ব্যক্তিজীবনের কিছু ভুলের মাশুল তাকে বারবার গুণতে হচ্ছে। বিষয়টি আমাকে মারাত্নকভাবে আহত করে। প্রতিটি মানুষেরই জীবনে কিছু না কিছু ক্ষত থাকে। সেদিক বিবেচনায় প্রভাও এর বাইরে নন।

কিন্তু এই সমাজে নারী হয়ে মিডিয়া জগতে টিকে থাকতে গিয়ে অনেক নোংরামির শিকার হন নারী অভিনেত্রীরা। কিন্তু কারো ব্যক্তিজীবনের একটি বা দু’টি ভুলের কারণে বারবার কেন তাকে নিয়ে এত কথা হবে বিষয়টা বুঝতে পারি না। সেলিব্রেটি হলেই কি কারো কোনো ব্যক্তি জীবন থাকতে পারে না?

মেয়েটা কতটা আকুতি নিয়ে শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, ‌‘আমি .......সাদিয়া জাহান প্রভা। জীবনে কোনোদিন মাদক সেবন করি নাই। টাকা বা কাজের বিনিময়ে কারো সাথে রাত কাটাই নাই। সজ্ঞানে কোনোদিন কারো ক্ষতি করি নাই। একটা সশিক্ষিত পরিবারের সন্তান আমি। জীবনে অনেক বড় বড় পরীক্ষা দিয়েছি কিন্ত হার মানিনি। কারণ আমি নির্দোষ তাই।’

সমালোচকদের কাছে আকুতি জানিয়ে প্রভা আরও লেখেন, ‘আমাকে নিয়ে ভ্রান্ত ধারনাগুলো বন্ধ করুন। খুবই সাধারন জীবন আমার। আজকে অনেক অসহায় হয়ে আমার নিজের জীবনের স্টেটমেন্ট দিলাম। বাঁচতে দিন আমাকে।’

এরপর থেকে প্রভার সমালোচকরা যেভাবে তার অতীতকে সামনে টেনে এনে আবারো নতুন করে তাকে যেভাবে ক্ষত-বিক্ষত করা হচ্ছে তা সত্যিই আমাদের সবার জন্য লজ্জার এবং কষ্টেরও।

প্রভার সমালোচকদের জন্য একটা কথা বলছি, এই অনিন্দ্য সুন্দরী প্রভা অভিনয় দক্ষতা দিয়ে অনেকের মন জয় করেছেন। তার অভিনয়ের কোথায় ভুল আছে, সেগুলো নিয়ে গঠনমূলক সমালোচনা করুন। মেয়েটো যদি আপনাদের এই মানসিক আক্রমণে আত্নহত্যা করে তবে কি খুব বেশি খুশি হবেন নাকি? তাকে বাঁচতে দিন।

প্রভা আপনি ভয় পাবেন না, আর কেউ না থাকুক; আমি আপনার পাশে আছি। আপনি বেঁচে থাকুন। নিজের মতো কাজে ডুব দিয়ে থাকুন। স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাও মানুষের অতীত পরিবর্তন করতে পারেন না। আপনি বর্তমনা ও ভবিষ্যতকে নিয়ে থাকুন। আপনার জন্য শুভ কামনা।

লেখক: সিনিয়র প্রতিবেদক, পূর্বপশ্চিমবিডি.নিউজ