• রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

এগারো দিনের জেল হেফাজতে পি কে হালদার

প্রকাশ:  ২৭ মে ২০২২, ১৭:৪৭
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পি কে হালদারসহ পাঁচ অভিযুক্তকে ১১ দিনের জেল হেফাজতের আদেশ দিয়েছেন ভারতের কলকাতার একটি বিশেষ আদালত। দশ দিনের ইডি হেফাজত থেকে শুক্রবার (২৭ মে) দুপুরে তাদের আদালতে তোলা হয়। এ আদেশের ফলে পিকে হালদারসহ আটক বাকিদের আগামী ৭ জুন ফের আদালতে হাজির করা হবে।

এদিন ইডি পক্ষের আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, আমরা ১৪ দিনের জেল হেফাজত চেয়েছি। সেই সঙ্গে তাদের জেলেও জেরার অনুমতি দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।

অপরদিকে পি কে হালদারের আইনজীবী হায়দার আলী ও সোমনাথ ঘোষ আদালতকে বলেন, আসামিরা গত ১৪দিন ধরে ইডির রিমান্ডে ছিলেন। এ সময় তারা কি করেছেন? আসলে ওনারা সময় নষ্ট করছেন। এতোই যদি তাদের বিদেশি বলা হয়, তাহলে ফরেনার অ্যাক্টসে মামলা দিচ্ছে না কেন?

উত্তরে অরিজিৎ চক্রবর্তী আদালতকে বলেন, এটা এতো সহজ ব্যাপার নয়। এই টাকা বাংলাদেশের। বেআইনিভাবে ভারতে ১০ হাজার কোটি টাকা ঢুকেছে। ভারতের নাগরিক হিসেবে সব নথি আছে হালদারদের কাছে। খুবই গুরতর বিষয়। এটা একটু গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করুন।

এরপর বিচারক ১১ দিনের (২৭মে -৭জুন) জেল হেফাজতের আদেশ দেন এবং ভারতীয় অর্থনীতি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীকে (ইডি) জেরা করার অনুমতি দেন।

আদালত থেকে বের হয়ে অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, পি কে হালদারসহ বাকি ৫ জনকে এগারো দিনের জেল হেফাজত নেওয়া হয়েছে। কারণ আদালতে আমাদের সাবমিশন ছিলো, ভারতে পি কে হালদার তার প্রতারণার জাল ছড়িয়েছেন। এর সঙ্গে ইডি যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি পেয়েছে তার কোনো সোর্স অব ইনকাম দেখাতে পারেনি। বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি নিয়ে এখন অনুসন্ধান চলছে।

তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পি কে হালদরের ১৩টা বাড়ি এবং ফ্ল্যাটসহ বোট হাউস পাওয়া গেছে। এছাড়া ৭টা খালি জমির মধ্যে কয়েকটা পি কে হালদারের নামে, কয়েকটা বেআইনি নামে পাওয়া গেছে।

এর পাশাপাশি তিনি বেআইনিভাবে যে অর্থ বাংলাদেশ থেকে পাচার করে এনেছেন তা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা শুরু করেছিলেন। সেই সঙ্গে পি কে হালদারদের নামে ১৩টি কোম্পানিও পাওয়া গেছে।

অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশ সরকার যদি পি কে হালদারকে নিতে চায় তাহলে সেটা দুই দেশের ব্যাপার। সেখানে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের সরকারের মধ্যে জটিলতা কেটে গেল নিশ্চয়ই নিতে পারবে।

এর প্রেক্ষিতে আদালতের বাইরে আসামি পক্ষের দুই আইনজীবী বলেন, আমরা পি কে হালদার নামে কাউকে চিনি না। আমরা যার হয়ে মামলা করছি তিনি শিবশঙ্কর হালদার এবং তিনি ভারতীয়।

উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাস ছাড়াও বিভিন্ন অঞ্চলে পি কে হালদারসহ তার সহযোগীরা বেআইনি ব্যবসা চালু করে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৪ মে পি কে হালদারসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

পরে পি কে হালদারসহ ৫ জনকে আদালতে তোলা হলে প্রথমে ৩ দিনের ও পরে আরো ১০ দিনের হেফাজতে নেয় ইডি। গ্রেপ্তারদের ছয়জনের কাছ থেকে প্রায় দেড়শ কোটি টাকাসহ বিভিন্ন দেশের পাসপোর্ট ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

হেফাজতে থাকাকালীন ইডি অনেক তথ্যই সংগ্রহ করতে পেরেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তারের পর তাদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় সংস্থাটি।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

পি কে হালদার,জেল হেফাজত,আদালত,হাজির
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close