• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

আবারও প্রেসিডেন্ট হলে যা যা করতে চান ট্রাম্প

প্রকাশ:  ০৭ মার্চ ২০২৪, ১৭:০০ | আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩৩
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দল থেকে তেমন বিরোধিতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে না বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে। তাই নভেম্বরের নির্বাচনে তার মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত।

অন্যদিকে রিপাবলিকান দল থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ট্রাম্পের মনোনয়নও নিশ্চিত হয়ে গেছে সুপার টুয়েসডের ভোটের মধ্য দিয়ে। ফলে নভেম্বরের নির্বাচনে আবারও ট্রাম্প-বাইডেনের লড়াই দেখতে যাচ্ছে বিশ্ব।

বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জাতিসংঘের সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি। একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী সরে দাঁড়ানোয় ডোনাল্ড ট্রাম্পই এখন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টি থেকে একমাত্র মনোনয়নপ্রত্যাশী।

নির্বাচনের অন্যান্য প্রার্থীদের মতো যুক্তরাষ্ট্রকে উন্নত, অগ্রসর রাষ্ট্র হিসেবে প্রচার করেন না ট্রাম্প। বরং তিনি দাবি করেন, সীমান্ত এলাকাগুলোকে বিবেচনায় নিলে যুক্তরাষ্ট্র নিতান্তই একটি তৃতীয় বিশ্বের রাষ্ট্র।

মুদ্রাস্ফীতি, বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা, মাদক সংকটে জর্জরিত শহর অভিবাসন সমস্যা, এমনকি নোংরা বিমানবন্দরের মতো সমস্যাগুলোকে তিনি স্পটলাইটে আনেন এবং এর মাধ্যমে বর্তমান সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরেন।

একদিকে বিগত কয়েক বছরে অন্যান্য দেশের যুদ্ধে সামরিক সহায়তা দিতে গিয়ে অর্থনৈতিক দৈন্যদশা আর অন্যদিকে কোভিড-১৯ মহামারী সামাল দিতে গিয়ে বেহাল অবস্থা- মূলত এই দুইয়ের ধাক্কায় অনেকটা জনপ্রিয়তা হারিয়েছে বাইডেনের সরকার। এর সুযোগ নিয়ে ট্রাম্প নিজের জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে তুলেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে আবারও নির্বাচিত হলে কী কী করবেন, তার তালিকাও দিয়েছেন ট্রাম্প। এর মাঝে একটি হলো সংবিধান বাতিল করা। তিনি চান প্রেসিডেন্টকে অসীম ক্ষমতা দেবে সুপ্রিম কোর্ট, যা ব্যবহার করে নিজের শত্রুদের ‘দেখে নেওয়া হবে’। রাষ্ট্রীয় পদগুলোয় রাজনৈতিক নিয়োগ দেবার পক্ষপাতী তিনি, এবং এর থেকে আদালতও বাদ যাবে না। এমনকি ন্যাটো থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে আনবেন তিনি, এমন আশঙ্কাও ব্যক্ত করেছেন ট্রাম্পের সাবেক কর্মীরা।

অতীতের মতো এবারেও অভিবাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ট্রাম্প। তিনি দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের রক্ত দূষিত করে তুলছে নথিবহির্ভুত অভিবাসীরা। তিনি অভিবাসীদের গণহারে দেশ থেকে বের করে দিতে এবং তাদেরকে সাময়িকভাবে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখতে আগ্রহী।

যুক্তরাষ্ট্র
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close