বৈশাখী ও মৌমিতা পরিবহনের ১৮ বাস আটক জাবি ছাত্রলীগের

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দুই শিক্ষার্থীকে বাসে হেনস্তার অভিযোগে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকারী মৌমিতা পরিবহন এবং বৈশাখী পরিবহনের ১৮টি বাস আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রফিক-জব্বার হল ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী।

শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুর সাড়ে তিনটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ফটকের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচাগামী লেনে বাসগুলো আটক করে রাখা হয়।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মৌমিতা এবং বৈশাখী পরিবহনের বাসগুল জয় বাংলা ফটক সংলগ্ন আরিচাগামী লেনে সারিবদ্ধভাবে মৌমিতা পরিবহনের পাঁচটি বাস ও বৈশাখী পরিবহনের ১৩ টি বাস আটক করে রাখা হয়েছে।

শহীদ রফিক-জব্বার হলের ৪৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি জুবায়ের আহমেদ বলেন, শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জ থেকে মৌমিতা পরিবহনে করে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন তিনি। জুবায়ের হাফ ভাড়া দিতে চাইলে বাসের সহযোগী সেটা নেননি। পরে তিনি ফুল ভাড়া পরিশোধ করেন। তবে বাসটি সাভারের হেমায়েতপুর এলাকায় ফুলবাড়িয়া নামক জায়গায় আসলে বাসটি আর যাবে না বলে জানায়। এই সময় ওই বাসের সহযোগীর সাথে বাগবিতণ্ডা হয় জুবায়েরের। এক পর্যায়ে জুবায়েরকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ তার। এই ঘটনার জেরে বিচারের দাবিতে হলের শিক্ষার্থীদের দিয়ে বাসগুলো আটক করেছেন তিনি।

এদিকে রাজধানীর মহাখালী এলাকা থেকে বৈশাখী পরিবহনের একটি বাসে করে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন শহীদ রফিক-জব্বার হলের ৪৯ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের কর্মী নিশাত সিদ্দিকী। বাসের ধীর গতির কারণে বাসের চালকের সাথে বাগবিতণ্ডা হয় নিশাতের। এই ঘটনার জেরে ওই হলের শিক্ষার্থীরা ১৩ টি বাস আটক করেছেন।

নিশাত বলেন, আমি মহাখালী থেকে ক্যাম্পাসে ফিরছিলাম। পুরো রাস্তায় বৈশাখী পরিবহনের ওই চালক ধীরে ধীরে যাচ্ছিলেন ও যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী উঠাচ্ছিলেন। আমি তাদের বলি যত্রতত্র গাড়ি না থামিয়ে একটু দ্রুত যেতে। এক পর্যায়ে চালক আমাকে গালিগালাজ শুরু করে। জাহাঙ্গীরনগরের পরিচয় দেওয়ার পরও গাড়ির চালক এবং হেল্পার ক্যাম্পাস নিয়েও বাজে মন্তব্য করেন। এক পর্যায়ে বাকবিতণ্ডায় জড়ালে চালক আমাকে সাভারে গিয়ে মারধরের হুমকি দেন। আমি এই ঘটনার বিচারের দাবিতে বাস আটকিয়েছি। মালিকপক্ষ আসলে ওই নির্দিষ্ট বাসের চালকদের নিয়ে আসলে বাস ছেড়ে দেব।

এই বিষয়ে বৈশাখী পরিবহনের চালক মো. সেলিম বলেন, 'শিক্ষার্থীরা বলছে বৈশাখী পরিবহনের কোন বাস তাদের এক ছাত্রের সঙ্গে ঝামেলা করেছে। তাই তারা আমাদের বাসগুলো আটক করেছে। বাস আটকের কথা মালিকপক্ষকে জানিয়েছি।'

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।