ভর্তি পরীক্ষার আর্থিক অনিয়ম তদন্তে জাবিতে ইউজিসি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০১৯-২০ সেশনের ভর্তি পরীক্ষার আট কোটি টাকা শিক্ষক-কর্মকর্তারা ভাগাভাগি করে নেওয়ার অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন ইউজিসির তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি।
সম্পর্কিত খবর
এ সময় ইউজিসির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন, তদন্ত কমিটির প্রধান ও ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। এছাড়া অন্যরা হলেন- ইউজিসির অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজার রহমান ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. গোলাম দোস্তগীর প্রমুখ।
তদন্ত কমিটির বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপস্থিত আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. নুরুল আলম, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মনজুরুল হক, ট্রেজারার রাশেদা আখতার, রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ। এছাড়াও ডেপুটি রেজিস্ট্রার, ডেপুটি কম্পট্রোলার প্রমুখ উপস্থিত আছেন।
এদিকে দীর্ঘদিন পর অফিস করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। তবে তিনি তদন্ত কমিটির বৈঠকে উপস্থিত হননি।
উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ভর্তি ফরম বিক্রি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট আয় হয় প্রায় ২০ কোটি টাকা। এরমধ্যে ১০ কোটির বেশি ব্যয় হয় পরীক্ষা আয়োজনে। আর দুই কোটির বেশি ব্যয় হয় অন্যখাতে। বাকি আট কোটি টাকার বেশি নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
পূর্ব পশ্চিম/জেআর