ককবরক ভাষায় ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ অনুবাদ কুবি শিক্ষার্থীর
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা অমর গ্রন্থ ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এবার ত্রিপুরা ভাষাতে বইটি অনুবাদ করা হয়েছে। ত্রিপুরা ভাষায় অনূদিত এই গ্রন্থটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘পাইথাকয়া লাংমা’। গ্রন্থটি বাংলা থেকে ত্রিপুরা ভাষায় অনুবাদ করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী যুবরাজ দেববর্মা।
গ্রন্থটি টানা দুই বছর কাজ করে ত্রিপুরার ককবরক মাতৃভাষায় রূপান্তরিত করেছেন তিনি। তার অনূদিত পাণ্ডুলিপিটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের কাছে জমা দিলে তারা অনূদিত বইটির প্রাথমিক অনুমোদন দেয়।
সম্পর্কিত খবর
ভূমিকা, টীকা ইত্যাদিসহ ৩০৩ পৃষ্ঠার পুরোটাই অনুবাদ করেছেন যুবরাজ। শব্দ হয়েছে প্রায় এক লাখ। অনুবাদে ত্রিপুরা জাতির ভাষার বিপন্ন অনেক শব্দকে তিনি ঠাঁই দিয়েছেন। বইটি এই ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।
অনুবাদটি গত আগস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের কাছে জমা দিয়েছেন যুবরাজ এবং সেখান থেকে তিনি বইটি প্রকাশের প্রাথমিক অনুমোদন পান।
অনুবাদক যুবরাজ দেববর্মা বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসা থেকেই ককবরক ভাষায় বইটি অনুবাদের কাজ করেছেন। প্রায় দুই বছর পরিশ্রমের পর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভাষান্তরের কাজটি শেষ করি।
তিনি আরো বলেন, আমি অনেকের সাথে যোগাযোগ করেছিলাম বইটি ছাপানোর পৃষ্ঠপোষকতার জন্য কিন্তু কারো কাছ থেকে সহযোগিতা পাইনি। তবে এখন ইউভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএলের) কাছে দ্বারস্থ হয়েছি এবং তারা এই বিষয়টা নিয়ে খুবই আন্তরিক। আশা করি বইটি খুব দ্রুত প্রকাশ করতে পারবো।
বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করে আসছেন অধ্যাপক ড. জি এম মনিরুজ্জামান। তিনি বর্তমানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতির দায়িত্বে আছেন। তিনি যুবরাজের অনুবাদের ব্যাপারে বলেন, এটা নিঃসন্দেহে একটি আনন্দের বিষয়। শ্রেষ্ঠ বাঙালির জীবনীগ্রন্থ আরো একটি ভাষায় প্রকাশের মাধ্যমে আরো সহজে আদিবাসীরা এটি পাঠ করতে পারবে। যুবরাজকে ধন্যবাদ এমন একটি উদ্যোগ নেয়ার জন্য। আশা করি শিগগির এটি প্রকাশ পাবে।