• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

আঁখির প্রেমে টাঙ্গাইলে ছুটে এল নোয়াখালীর বিলকিস

প্রকাশ:  ২২ মার্চ ২০২২, ১৭:৫২
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রেমের টানে টাঙ্গাইলের আঁখির কাছে ‍ছুটে এসেছেন নোয়াখালীর বিলকিস। ফেসবুকে ও টিকটকে প্রথম পরিচয়, তারপর প্রেম। দুই বছর ধরে চলা প্রেমে মাঝে ঢাকায় এসে থাকেন একসঙ্গে। প্রেমের টানে আবারও একত্র হয়েছে এ দুই কিশোরী। বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। তবে তাদের এই সম্পর্ক মানতে পারছে না পরিবার।

রোববার (২০ মার্চ) রাতে নোয়াখালী থেকে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায় নবম শ্রেনীর ছাত্রী আঁখির বাসায় আসেন বিলবিস।

আঁখি বাসাইল উপজেলার ফুলকি ইউনিয়নের ময়থা গ্রামের আজহার আলীর মেয়ে। বিলকিস আক্তার নোয়াখালী জেলার নুরুল ইসলামের মেয়ে।

জানা যায়, প্রায় দুই বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয় বিলকিছ ও আঁখির। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের টানে তারা প্রায় দুই মাস আগে ঢাকার সাভারে এক আত্মীয়ের বাসায় রাত্রীযাপন করে। এরপর সেখান থেকে তারা সিরাজগঞ্জের চৌহালী গিয়ে এক সঙ্গে থাকে। সেখানে স্থানীয়দের এই দুই কিশোরীর আচরণ সন্দেহজনক হলে তাদেরকে নিজ নিজ পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়।

বিলকিস বলেন, আমি আঁখিকে ভালোবাসি, তাই চলে এসেছি। আমি আমার ফ্যামিলিকে বলেছিলাম, ওর কাছে যাব, কিন্তু তারা রাজি হয়নি। তারা আমাদের সম্পর্ক মানবে না, তাই বাড়ি থেকে নিরুপায়ে পালিয়ে এসেছি। এখন ওর পরিবার না মানলে আমরা দু’জনে অন্য কোথাও গিয়ে থাকব।

আঁখি বলেন, বিলকিসকে নিয়ে আমি ঢাকায় গিয়েছিলাম। আমরা ঢাকায় দেখা করেছি। ঢাকায় আমাদের ফ্যামিলি গিয়ে আমাদের আলাদা করে নিয়ে এসেছে। আমার ফোন নিয়ে নিয়েছিল। কয়েকদিন পর ফোন ফেরত দেয়। তখন আবার আমরা যোগাযোগ করে ওকে আমার বাসায় নিয়ে এসেছি। সামাজিকভাবে আমাদের মানবে না, কিন্তু আমি ওর সঙ্গেই থাকতে চাই। বাঁচলেও ওর সঙ্গে, মরলেও ওর সঙ্গে। পুলিশ বা তারা যদি আমাদের মেরে ফেলতে চায়, তাহলে দু’জনকে একসঙ্গেই মারবে। আর যদি বাঁচিয়ে রাখতে চায়, তাহলে দুজনকেই রাখতে হবে।

আঁখির মা বলেন, অনেক আগে থেকে না করছিলাম। এর আগে ওরা ঢাকা চলে গেছিল। তারপর দুজনকে আলাদা করে রাখছিলাম। পরে এখন আবার চলে এসেছে। তাদের এই সম্পর্কের কারণে মানুষ বাড়িতে ভিড় করেছে। আমরা ওই মেয়ের পরিবারকে খবর দিছি। তারা আসার পর তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সেকান্দার আলী স্বপন বলেন, নোয়াখালীর ওই মেয়েটি রোববার সন্ধ্যায় এসেছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। দুই কিশোরীর দাবি তারা কেউ কাউকে ছাড়া থাকবে না। তারা গার্মেন্টে চাকরি করে একত্রে সারাজীবন কাটাবে বলে জানায়।

বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নোয়াখালীর মেয়েটির পরিবারকে জানানো হয়েছে। পরিবারের কাছে তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

পূর্বপশ্চিমবিডি/জেএস

প্রেম
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close