• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

সাংবাদিকতায় সুযোগের পাশাপাশি ঝুঁকিও নিয়ে আসছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

প্রকাশ:  ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯:০৫ | আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯:২২
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাংবাদিকতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারে সুযোগ যেমন রয়েছে, তেমনি ঝুঁকিও আছে বলে উঠে এসেছে এক গবেষণায়।

লন্ডন স্কুল অব জার্নালিজমের উদ্যোগে প্রতিবেদন তৈরিতে এআই ব্যবহার করে এমন ৪৬ দেশের ১০০ সংবাদমাধ্যমে জরিপ চালানো হয়।

যেখানে দেখা গেছে, ৮৫% উত্তরদাতা চ্যাটজিপিটি, গুগল বার্ডের মতো এআই দিয়ে শিরোনাম তৈরি ও সংবাদ লেখার প্রচেষ্টা করেছেন। এছাড়া অন্তত ৬০% উত্তরদাতাও এটির ওপর গভীর নজর রাখছেন।

গবেষকরা জানান, এআই ব্যবহার করে সাংবাদিকতা করলে সেটি নৈতিকতার ওপর প্রভাব ফেলে জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ৬০% উত্তরদাতা। তাতের মতে, এতে সংবাদের যথার্থতা, স্বচ্ছতা ও সাংবাদিকতার অন্যান্য দিকে প্রশ্ন থেকে যায়।

প্রতিবেদনের লেখক ও প্রকল্প পরিচালক চার্লি বেকেট বলেন, “সাংবাদিকতা বিশ্ব জুড়ে উত্তেজনাকর ও ভীতিকর প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।”

তিনি বলেন, “গবেষণায় দেখা গেছে, এআই টুলগুলো ‘তথ্য ও সংবাদমাধ্যমের ওপর বড় হুমকি’। তবে এখানে সাংবাদিকতাকে আরও দক্ষ, কার্যকর ও বিশ্বস্ত করার সুযোগ রয়েছে।”

সাংবাদিকরা ইন্টারভিউ সাজানোর মতো কাজে এআই টুল সময় বাঁচাতে পারে বলে মত জানান।

লেখক বলেন, “এআই দিয়ে প্রতিবেদন করা হলেও পক্ষপাত ও ভুলের মতো ক্ষতি কমাতে একজন মানুষের সেটি পরীক্ষা করতে হবে।”

এআই দিয়ে করা প্রতিবেদনের নানাবিধ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথের নিউজরুমে সেটি আরও বেশি স্পষ্ট।

এটির কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে ফিলিপাইনের একজন উত্তরদাতার উদ্ধৃতি দিয়ে। যেখানে বলা হয়, যেসব এআই প্রচলিত হয়েছে, সেগুলো ইংরেজি। তবে এশিয়ান ভাষায় এর অভাব আছে। এআই প্রযুক্তি ও আমাদের স্থানীয় ভাষার সঙ্গে সামঞ্জস্য করে এই ভাষাকেও এগিয়ে নিতে হবে।

গবেষণার সহ-লেখক মীরা ইয়াসিন বলেন, “এআই এর আর্থিক ও সামাজিক সুবিধা উত্তরে বিস্তৃত হয়েছে। আর দক্ষিণে তা নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করেছে।”

তিনি বলেন, “এটি বৈশ্বিক বৈষম্য বাড়িয়ে দিয়েছে। এআই এর বিকাশ ঘটার আগেই এটির ভবিষ্যৎ নিয়ে আরও ভাবা প্রয়োজন ছিল।”

সাংবাদিকতা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close